প্রত্যয়ী: রোহিতদের উপরে ভরসা রয়েছে সৌরভের। ছবি: পিটিআই।
সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজে ঢুকেই যেন এক টুকরো শৈশব ফিরে পেয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কলেজে পড়ার সময় ফাদারের বকুনি থেকে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরেছিল তাঁকে। কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘দাদা দাদা’ ধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় সৌরভকে। লর্ডসের ব্যালকনিতে তাঁর জামা ওড়ানোর উৎসবের ভিডিয়ো দেখানো মাত্রই উঠে দাঁড়িয়ে সৌরভকে অভ্যর্থনা জানান সকলে।
বৃহস্পতিবার কলেজের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই সৌরভ জানিয়ে দেন, ভারতের এ বার বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব নয়। সৌরভ বলেন, ‘‘ফলের আশা না করে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা উচিত রোহিত শর্মাদের। আমি নিশ্চিত, ভারত কোনও দলকেই ছোট করে দেখবে না। প্রত্যেকে যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে, তা হলে কোনও ফলই অসম্ভব নয়।’’
যশপ্রীত বুমরার প্রত্যাবর্তন যে ভারতীয় দলকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে, তা মানছেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। সৌরভের কথায়, ‘‘খুব ভাল ছন্দে দেখলাম বুমরাকে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওর প্রত্যাবর্তন দেখে ভাল লাগল। কয়েকটি ম্যাচ আরও খেললে আগের ছন্দ নিশ্চয়ই ও ফিরে পাবে। তখন ওকে সামলানো কঠিন
হবে বিপক্ষের।’’
এশিয়া কাপে ভারত-পাক দ্বৈরথ ২ সেপ্টেম্বর। যা নিয়ে সৌরভ উত্তেজিত। বলছিলেন, ‘‘পাকিস্তানও খুব শক্তিশালী। ওদের পেস বিভাগ বিশ্বের অন্যতম সেরা। নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি নিজেদের দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। ওদের দলে ভারসাম্য আছে। ভারতও খুব শক্তিশালী। সেই বিশেষ দিনে যারা ভাল খেলবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। চাপ সামলাতে জানতে হবে।’’
কে এল রাহুল ও শ্রেয়স আয়ার দলে ফিরে এসেছেন। কিন্তু সৌরভ মনে করেন, এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে তাঁদের নিজেদের প্রমাণ করতেই হবে। না হলে ভারতের ব্যাটিং বিভাগে বিকল্পের অভাব নেই। তাঁদের পরিবর্ত খুঁজতে সময় লাগবে না। সৌরভের কথায়, ‘‘এশিয়া কাপই সবচেয়ে বড় মঞ্চ নিজেদের প্রমাণ করার। চোট থেকে ফিরে আসার পরে ম্যাচ ফিট হওয়ার সময় পাবে। তবে ওদের রান করতে হবে।’’
যুজ়বেন্দ্র চহালকে ভারতীয় দলে না নেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সৌরভ আগে বলেছিলেন, তিনি নির্বাচক হলে চহালকে অবশ্যই দলে নিতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভিন্ন মত শোনা যায় তাঁর। সৌরভ বলেন, ‘‘ওকে ছাড়া দল গড়া সত্যি কঠিন। তবে এটাও ঠিক, তিন জনের বেশি স্পিনার খেলানো সম্ভব নয়। জাডেজার নাম সবচেয়ে আগে লেখা উচিত। কুলদীপও জীবনের অন্যতম সেরা ছন্দে রয়েছে। আর অক্ষরকে হয়তো স্পিনারের চেয়েও বেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যবহার করা হবে। চহালকে নিলেও ওকে কোথায় খেলাত?’’
শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, দাবায় আর. প্রজ্ঞানন্দের সাফল্যেও মুগ্ধ সৌরভ। ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে হারলেও সৌরভ বলেন, ‘‘অসাধারণ প্রতিভা। এই বয়সে ও যে সাফল্য অর্জন করেছে, তাতে আমরা গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy