পার্সি আবেসেকেরা। ছবি: টুইটার।
সোমবার বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে লড়াই কঠিন করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। সেই হার দেখা হল না পার্সি আবেসেকেরার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সমর্থক সোমবার দুপুরেই ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার ম্যাচে হাজির থাকতেন তিনি। কালো থেকে চুল সাদা হয়েছিল। বয়স বেড়েছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা বিরাট পতাকা দোলানোর অন্যথা হয়নি।
সব দেশের ক্রিকেটারদের কাছেই তিনি পরিচিত ছিলেন ‘আঙ্কেল পার্সি’ নামে। এ দিন তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। সনৎ জয়সূর্য, অর্জুন রণতুঙ্গা, কুমার সঙ্গকারা শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। বার্তা পাঠিয়েছে বিসিসিআইও। তারা লিখেছে, ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কায় গেলেই পার্সি যে ভাবে নিজের শক্তি, স্বতঃস্ফূর্ততা দেখিয়ে ক্রিকেটারদের কাছে ডেকে নিতেন তা অভূতপূর্ব।
আদপেও তাই। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে পার্সির সম্পর্ক ছিল আলাদাই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা তাঁকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। কিছু দিন আগে এশিয়া কাপে খেলতে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে পার্সির বাড়িতে ঘুরে এসেছিলেন রোহিত। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় কোহলি ভারতের সাজঘরে আমন্ত্রণ করেছিলেন পার্সিকে। বুঝিয়েছিলেন, কী ভাবে তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হন ক্রিকেটারেরাও। ধোনির সঙ্গে পার্সির একটি ছবি এখনও জনপ্রিয়।
১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ থেকে শ্রীলঙ্কার খেলা দেখা শুরু। তার পর থেকে সব বিশ্বকাপ এবং বড় প্রতিযোগিতায় দেশকে সমর্থন করতে দেশে-বিদেশে ছুটে বেড়িয়েছেন। বয়স বাড়লেও প্রাণশক্তি ছিল অসামান্য। অসুস্থতার কারণে এ বারের বিশ্বকাপে আসতে পারেননি। কে জানত, আর কোনও বিশ্বকাপেই আসা হবে না ‘আঙ্কেল পার্সি’র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy