Advertisement
০২ মে ২০২৪
Suryakumar Yadav

বানিয়ে নেন বিশেষ পিচ, ডাকেন উঠতি বোলারদের! বিরাটকে টপকে চর্চায়, সূর্যের তেজের রহস্য কী

চলতি বিশ্বকাপে তিনটি অর্ধশতরানই শুধু করেননি, প্রতি ম্যাচে সূর্যকুমার যে রকম উদ্ভাবনী শট খেলছেন তা চোখ কপালে তুলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। অনেকেই জানতে চান তাঁর সাফল্যের রহস্য।

প্রতি ম্যাচে সূর্য যে রকম উদ্ভাবনী শট খেলছেন, তা চোখ কপালে তুলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

প্রতি ম্যাচে সূর্য যে রকম উদ্ভাবনী শট খেলছেন, তা চোখ কপালে তুলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০১
Share: Save:

দলে রয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্যের মতো ক্রিকেটার। তবু ভারতীয় সমর্থকের মনে এখন শুধু একটাই নাম— সূর্যকুমার যাদব। চলতি বিশ্বকাপে তিনটি অর্ধশতরানই শুধু করেননি, প্রতি ম্যাচে যে রকম উদ্ভাবনী শট খেলছেন, তা চোখ কপালে তুলে দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। সকলেই প্রশ্ন করছেন, কোথায় এমন শট শিখলেন সূর্য?

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের কারণেই সূর্য সাফল্য পাচ্ছেন। বিশ্বকাপে আসার আগে তিনি মুম্বইয়ের পার্সি জিমখানার ক্রিকেট সচিবকে বলেন একটি সবুজে ঢাকা বাউন্সি পিচ বানিয়ে দিতে। সাইড আর্ম বোলিং বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নেন। মুম্বইয়ের প্রাক্তন ওপেনার বিনায়ক মানে বেশ কিছু উঠতি বোলারকে নিয়ে আসেন। প্রতি দিন ৪ ঘণ্টা অনুশীলন করতেন সূর্য। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করে সেই অনুযায়ী খেলা এবং শট নিখুঁত করার দিকে জোর দিতেন। পাশাপাশি বিনায়ক যা বলতেন সেটাই শুনতেন। ধীরে ধীরে নিখুঁত শট খেলতে থাকেন সূর্য। অস্ট্রেলিয়ায় এখন যা দেখা যাচ্ছে তা সেই পরিশ্রমেরই ফল।

সূর্য নিজেও সে কথা মেনে নিয়েছেন। জ়িম্বাবোয়ে ম্যাচে তাঁর স্কুপ এবং হেলিকপ্টার শট চমকে দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে সূর্য বলেছেন, “বোলার কী বল করতে চলেছে সেটা বুঝে নেওয়া দরকার। বল ডেলিভারির আগেই সেটা ভেবে নিতে হবে। রবারের বলে ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই স্কুপ শট আয়ত্ত করেছি। সেই সময় যদি বোলারের ভাবনা বুঝে নিতে পারি এবং ফিল্ডিংটা দেখে নিই, তা হলে ঝুঁকি নিতে অসুবিধা নেই। আমার পিছন দিকে যে বাউন্ডারি রয়েছে তার দৈর্ঘ্য কতটা সেটা আগে থেকেই জানি। ব্যাট করার সময় বোলারের বলের গতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।”

কী ভাবে চাপের পরিস্থিতি সামলান, সেটা নিয়েও কথা বলেছেন সূর্য। তাঁর কথায়, “ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করি। সেটা না পেলে চেষ্টা করি দৌড়ে যতটা সম্ভব রান নেওয়ার। বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করতে নামলে দৌড়তে তো হবেই। তখনই ফিল্ডারদের মধ্যে ফাঁক খুঁজে নিয়ে বল মারার চেষ্টা করি। সুইপ, কভারের উপর দিয়ে শট, কাট— এগুলো আমার অস্ত্র। সেগুলো পেয়ে গেলেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE