কোচ গৌতম গম্ভীরের হাত ধরেই ভারতীয় দলে সহকারী কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অভিষেক নায়ার। কিন্তু সেই নায়ারের চাকরি যাওয়ার সময় কোনও বাধা দেননি গম্ভীর। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, গম্ভীর ব্যস্ত ছিলেন অন্য দুই কোচের চাকরি বাঁচাতে।
ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে হার এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১-৩ ব্যবধানে পরাজয়। ভারতীয় টেস্ট দলের এই দুই হার মেনে নিতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও তাই চাকরি গেল সহকারী কোচ নায়ারের। সেই সঙ্গে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গম্ভীরের হাত ধরে ভারতীয় দলে আসা নায়ারের চাকরি বাঁচানোর চেষ্টাই করেননি কোচ। ‘হিন্দুস্তান টাইম্স’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “নায়ারকে বহিষ্কার করার কথা বলায় কোনও আপত্তি করেননি গম্ভীর। রায়ান টেন দুশখতে এবং মর্নি মর্কেলের চাকরি বাঁচাতে উদ্গ্রীব ছিলেন তিনি। কোনও ভাবেই এত তাড়াতাড়ি ওঁদের তাড়াতে রাজি ছিলেন না গম্ভীর।”
আরও পড়ুন:
গত বছর জুলাইয়ে ভারতীয় দলের কোচ হন গম্ভীর। সেই সময়ই নায়ার, দুশখতে এবং মর্কেলকে সহকারী হিসাবে নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু আট মাসের মধ্যেই চাকরি গেল নায়ারের। দিলীপ ফিল্ডিং কোচ হিসাবে আগে থেকেই ছিলেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর রাখেনি বোর্ড। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর রাখা হয়নি স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাইকেও। তাঁরা গত তিন বছর ধরে দলের সঙ্গে ছিলেন।
সূত্রের খবর, বোর্ডের তরফে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নায়ারকে নিয়ে খুশি ছিলেন না। সেই কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয় নায়ারকে। আপাতত তাঁর বদলি হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন দুশখতে। স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ হিসাবে আনা হতে পারে আদ্রিয়ান লে রোক্সকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়ক থাকার সময় তিনি ভারতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন।