Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Mohammed Siraj

এক ওভারে ৪ উইকেট, কী ভাবে শ্রীলঙ্কার চার ব্যাটারকে ফেরালেন সিরাজ?

এক ওভারে চার উইকেট। এক দিনের ক্রিকেটে আগে কবে এ রকম স্পেল দেখা গিয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। মহম্মদ সিরাজের আগুনে স্পেল ধ্বংস করে দিল শ্রীলঙ্কাকে।

cricket

উইকেট নিয়ে সিরাজের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৭
Share: Save:

এশিয়া কাপের ফাইনালে চতুর্থ ওভারটি সম্ভবত অনেক দিন ভুলতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। এক দিনের ক্রিকেটে আগে কবে এ রকম স্পেল দেখা গিয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। মহম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে সেই ওভারেই শ্রীলঙ্কার অর্ধেক ইনিংস সাজঘরে ফিরে যায়। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেই আগুনে স্পেল করে যান সিরাজ়‌। কী ভাবে সেই ওভারটি করলেন তিনি?

১) চতুর্থ ওভারের প্রথম বল। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন পাথুম নিসঙ্ক। কভারের দিকে তাঁর মারা শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরেন রবীন্দ্র জাডেজা। বলটা একটু নিচু হয়ে এসেছিল। কিন্তু ফিল্ডার হিসাবে জাডেজার দক্ষতা আগেই প্রমাণিত। কঠিন ক্যাচও তিনি সহজ ভাবে ধরে নেন।

২) চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বল। সামনে ছিলেন সাদিরা সমরবিক্রম। বল পিচের মাঝে পড়ে ভেতরে ঢুকে আসে। সমরবিক্রম ব্যাট দিয়ে খেলতে পারেননি। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। সরাসরি উইকেট লক্ষ্য করে করা বলে আঙুল তুলতে দেরি করেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি।

৩) চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বল। বাঁহাতি চরিত আসালঙ্ক ছিলেন সামনে। অফস্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে বল করেছিলেন সিরাজ। সাধারণত ওই বলে ড্রাইভ করলে বাউন্ডারি পাওয়া যায়। আসালঙ্কও তাই করেছিলেন। কিন্তু শটের টাইমিংয়ের গন্ডগোল হয়ে যাওয়ায় বল উঠে যায়। কভারে সহজ ক্যাচ ধরেন ঈশান কিশন।

৪) চতুর্থ ওভারের ষষ্ঠ বল। আগের বলেই সিরাজ চার খেয়েছিলেন ধনঞ্জয় ডি’সিলভার কাছে। ওভারের শেষ বলে তাঁকেই বোকা বানিয়ে আউট করলেন ভারতীয় বোলার। আউটসুইং বল ছিল অফস্টাম্পের বাইরে। প্রলোভিত হয়ে কভার দিয়ে ড্রাইভ করে চার মারতে গিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। বল জমা পড়ে উইকেটকিপার কেএল রাহুলের হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE