মোহালি পৌঁছলেন কিং কোহলি।
এশিয়া কারপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বহু কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি পাওয়ার পরে বিরাট কোহলিকে নিয়ে ফের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। সুনীল গাওস্কর, রবি শাস্ত্রী, মাহেলা জয়বর্ধনের মতো প্রাক্তনরা মনে করছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের চেনা ছন্দে প্রত্যাবর্তন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এগিয়ে রাখবে ভারতীয় দলকে। শনিবার সেই বিশ্বাসের সুরই শোনা গেল মিচেল জনসনের গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, কোহলি রানে ফেরায় ভারতীয় দল অনেক বেশি স্বস্তিতে থাকবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, বিরাট কোহলি রানে ফেরায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে ভারতীয় দলের। জনসন বলেছেন, ‘‘বিরাট রান পাওয়ায় ভারতীয় দল অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। বিরাট অধিনায়ক হওয়ার পরেই ভারতীয় দল সাহসী ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও ওর অবদান প্রচুর।’’
এখানেই না থেমে জনসন বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে প্রত্যেক মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে। একটি ম্যাচও হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। ভারতীয় ক্রিকেটারেরা বড় ম্যাচের চাপ অনায়াসেই সামলাতে পারে। কারণ, আইপিএলে তাঁদের অনেক চাপের মধ্যে থেকেও ম্যাচ বার করতে হয়।’’
এ দিকে, ইডেনে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির ম্যাচকে ঘিরে যে উত্তেজনা ছিল, তার ৫০ শতাংশও দেখা গেল না লেজেন্ডস লিগের সূচনার দিন। কিন্তু এই লিগে নারীর ক্ষমতায়ন বার্তাকে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরুষদের পরিবর্তে ম্যাচ পরিচালনা করছেন মহিলা আম্পায়ারেরা। গত বারও ওমানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পরিচালনা করেছেন মহিলা আম্পায়ারেরাই। এ বার ইডেনেও দেখা গেল একই দৃশ্য। ম্যাচ পরিচালনা করলেন কিম কটন ও শুভ্রা ভোঁসলে। দু’জনেই আইসিসিঅনুমোদিত আম্পায়ার।
শনিবারের ইডেনে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত জায়ান্টস ম্যাচে মূল আকর্ষণ ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ, মিচেল জনসন, ক্রিস গেল ও গৌতম গম্ভীর। টসের সময় সহবাগ এলেও দেখা গেল না বিপক্ষ অধিনায়ক গম্ভীরকে। এমনকি ক্রিস গেলও এলেন না কলকাতায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জন্মদিনে ইয়ট পার্টি আয়োজন করছেন গেল। অন্য দিকে গম্ভীর ঘুরতে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তার উপরে শনিবার এলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
মিচেল জনসন যদিও স্বমেজাজেই ছিলেন মাঠে। তাঁকে দেখে মনে হল না, তিনি আর অস্ট্রেলীয় জার্সিতে খেলেন না। নতুন বলে তাঁর সুইং ও গতি এখনও বহু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। সহবাগকে তিনিই ফেরালেন অফকাটারে। একটি ইনসুইংয়ে প্রাক্তন ওপেনারকে বিভ্রান্ত করার পরে অফকাটারে স্কোয়ার কাট করতে যান সহবাগ। ফের ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন গুজরাত জায়ান্টস তারকা। কেকেআরে খেলে যাওয়া জনসনের এখনও অন্যতম প্রিয় মাঠ ইডেন। ম্যাচের আগে বলছিলেন, ‘‘ব্রিসবেনের পরে ইডেন এখনও আমার অন্যতম প্রিয় মাঠ। এখানে পেসাররা খুবই সাহায্য পায়। ভারতের মাটিতে এতটা বাউন্স ইডেন ও ধর্মশালা ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘লেজেন্ডস লিগকে ঘিরেও যে কলকাতার মানুষদের মধ্যে উত্তেজনা থাকবে, তা ভাবিনি। মাঠের পরিবেশ এখনও বেশ উপভোগ্য।’’
দর্শকদের মধ্যে গেলদের দেখতে না পাওয়ার হতাশা মিটল জোড়া সেঞ্চুরিতে। ৪১ বলে সেঞ্চুরি করলেন অ্যাশলে নার্স। ১০৬ রান করে গুজরাত জায়ান্টসকে জেতালেন কেভিন ও’ব্রায়ান। নার্স আটটি চার ও ৯টি ছয়ের সৌজন্যে ইনিংস গড়লেও তা কাজে এল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy