চেন্নাই সুপার কিংস রবীন্দ্র জাডেজাকে বিক্রি করে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। অথচ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নেতৃত্বে ইস্তফা দেওয়ার পর ২০২২ সালে জাডেজাকে অধিনায়ক করেছিলেন চেন্নাই কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সাল থেকে হলুদ জার্সি পরে আইপিএল খেলা অলরাউন্ডারকে বিক্রির কথা শুনে কী বলেছিলেন ধোনি? প্রকাশ করেছেন সিএসকের এক কর্তা।
জাডেজাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি করেননি ধোনি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সিএসকের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা গত তিন বছর ধরে সঞ্জু স্যামসনকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পদ্ধতি শুরুর আগে ধোনি এবং জাডেজা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছিল। সব পক্ষের স্বার্থের কথা ভেবেই যে এই সিদ্ধান্ত, তা দু’জনেই মেনে নিয়েছিল। ধোনিও আপত্তি করেনি।’’ জানা গিয়েছে, সঞ্জুকে ১৮ কোটি টাকায় দলে নিতে এ ছাড়া আর পথ ছিল না চেন্নাই কর্তৃপক্ষের হাতে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তরুণ ক্রিকেটারদের ছাড়তে চাননি তাঁরা।
আরও পড়ুন:
তবে জাডেজাকে চেন্নাই ছেড়ে দেওয়ায় বিস্মিত আইপিএলের অন্য দলগুলি। অন্য একটি দলের সিইও সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এটা খুবই বিস্ময়কর। বিশেষ করে যে সব ক্রিকেটারেরা তারকার সম্মান পান, দীর্ঘ দিন ধরে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন, তাঁদের এত সহজে ছেড়ে দেওয়া যায়! ধোনি যে কোনও দিন অবসর নিতে পারেন। তার পর চেন্নাইয়ের মুখ কে হবেন? ধোনির পর জাডেজার নামই সকলের মাথায় আসে। ধোনি অবসর নেওয়ার পর কে?’’
জাডেজার মতো ক্রিকেটারকে চেন্নাইয়ের ছেড়ে দেওয়ায় বিস্ময় তৈরি হয়েছে। তবে গত কয়েক মরসুম ধরে চেন্নাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাডেজার আগের মতো সুসম্পর্ক নেই। তাঁকে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। আইপিএলের গত নিলামের পরও জাডেজাকে ছেঁটে ফেলার কথা ভেবেছিলেন চেন্নাইয়ের কর্তারা। সে বার ধোনি হস্তক্ষেপ করে জাডেজাকে রেখে দেন। এ বার আর আপত্তি করেননি। তা হলে কি জাডেজার সঙ্গে ধোনির সম্পর্কও আর আগের মতো নেই?