রবিবার প্রথম এক দিনের ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি দুই ক্রিকেটারকেই কম রানে ফিরিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। রোহিত কোনও মতে আট রান করলেও কোহলি খাতাই খুলতে পারেননি। অথচ দু’জনের কারও ক্ষেত্রেই আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বাড়তি উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়নি। কেন নিজেদের সংযত রেখেছিলেন তাঁরা? কারণ খুঁজে পেয়েছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী।
শ্রীবৎস অতীতে কোহলির সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। সেই দলের উইকেটকিপার ছিলেন তিনি। সেই শ্রীবৎস লিখেছেন, “আপনারা যদি ওই দুটো উইকেটের সময় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস দেখেন, তা হলে বাড়াবাড়ি কিছু দেখতে পাবেন না। ওরা জানত যে এই দু’জন অনেকটা বিরতির পর ক্রিকেটে ফিরেছে। যদি রোহিত, কোহলি দু’জনেই ফর্মে থাকত এবং ধারাবাহিক ভাবে ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ায় আসত, তা হলে অসিদের উচ্ছ্বাসই অন্য রকম হত। ছোট ছোট জিনিস এ ভাবেই চোখে পড়ে।”
রবিবারের হারের পর টপ অর্ডারের ব্যর্থতাকে দুষেছিলেন শুভমন। অনেকেই মনে করেছিলেন, রোহিত-কোহলিকে নিশানা করেছেন তিনি। শুভমন বলেছিলেন, ‘‘পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট পড়ে গেলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়। তখন ধরে খেলা ছাড়া উপায় থাকে না। আমাদেরও সেটাই হয়েছে। ফলে যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি আমরা। তবে এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখলাম। কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে।’’
যদিও দলের পেসার অর্শদীপ সিংহের মতে, সিরিজ়ের বাকি দুই ম্যাচে কোহলি অনেক রান করবেন। অর্শদীপ বলেন, “ভারতের হয়ে (এক দিনের ক্রিকেটে) ৩০০-রও বেশি ম্যাচ খেলেছে। তাই ফর্ম ওর কাছে নেহাতই একটা শব্দ। ও জানে কী ভাবে এগিয়ে যেতে হয়। কোহলির সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নিতে পারা আমার কাছে আশীর্বাদের মতোই। আশা করি এই সিরিজ়ে ও প্রচুর রান করবে।”
আরও পড়ুন:
কোহলি মাত্র একটি ফরম্যাটেই এখন খেলেন। এটা কতটা চাপের? অর্শদীপের উত্তর, “যে ফরম্যাটের কথা আপনারা বলছেন সেই ফরম্যাটেই এত দিন কোহলি দাপট দেখিয়ে এসেছে। তাই কোহলি জানে কী ভাবে এই ফরম্যাটে সফল হতে হয়। জানি না এখন ওর মন কী বলছে। সেটা জানার চেষ্টা করব। হয়তো পরের সাংবাদিক বৈঠকে এর উত্তর পেয়ে যাবেন।”