Advertisement
E-Paper

১৪০ কোটি পেয়ে খরচ ৭ কোটি, বাকি টাকা কোথায়? দিল্লির ক্রিকেট সংস্থাকে নিশানা কীর্তি আজাদের

দু’দিন পরেই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচন। এ বার লড়বেন কীর্তি আজাদ। নির্বাচনের আগে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৩
cricket

কীর্তি আজাদ। —ফাইল চিত্র।

আবার কীর্তি আজাদের নিশানায় দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। দু’দিন পরেই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন। এ বার লড়বেন আজাদ। নির্বাচনের আগে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার। প্রাক্তন ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে আজাদের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ তিনি।

এ বারের নির্বাচনে আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রোহন জেটলি। তিনিই বর্তমান সভাপতি। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলির পুত্র তিনি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে জেটলির নামেই রাখা হয়েছে। সেই জেটলি-পুত্রকে নিশানা করেছেন আজাদ।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে গত বছর ৭০ কোটি টাকা পেয়েছিল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। স্পনসর, আইপিএল, বোর্ডের কাছ থেকে ম্যাচ ফি ও টিকিট বিক্রি করে গত বছর আরও ৬৭ কোটি টাকা রোজগার হয়েছিল তাদের। সেই টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলেই অভিযোগ আজাদের। তিনি বলেন, “বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা প্রতি বছর ১৪০ কোট টাকা পায়। তার মানে প্রতি মাসে ১২ কোটি ও প্রতি দিন ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে তারা। কিন্তু সেই টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে তার কোনও হিসাব নেই। ক্রিকেটের জন্য মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল?” রোহন অবশ্য এই অভিযোগের কোনও জবাব দেননি।

নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার রোহনকে একটি বিতর্কসভায় আহ্বান করেছিলেন আজাদ। বর্তমান সভাপতি যাননি। আজাদের দাবি, কিছু বলার নেই বলেই আসেননি তিনি। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলেন, “রোহন আমার ছেলের মতো। আমি চেয়েছিলাম ওর সঙ্গে খোলাখুলি একটা বিকর্কসভা করতে। কিন্তু ওরা কেউ এল না। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সদস্যেরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে তা বোঝা যাবে।”

১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর দিল্লি ক্রিকেট সংস্থায় নির্বাচন। ফল ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বর। এ বার মোট ৩৭৪৮ জন সদস্য ভোট দেবেন। ক্ষমতা দখল করে রাখার বিষয়ে আশাবাদী রোহন শিবির। তবে আজাদের মতে, পালাবদল হবে। তিনি বলেন, “পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন ছাড়া জীবনও চলে না। আমি আত্মবিশ্বাসী। তলায় তলায় বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সকলেই পরিবর্তন চাইছেন।”

kirti azad DDCA Rohan Jaitley BCCI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy