সিলেটের বৃষ্টিও বাঁচাতে পারল না। জ়িম্বাবোয়ের কাছে প্রথম টেস্টে চার দিনেই হেরে গেল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ৩ উইকেটে হেরে দু’টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেন নাজমুল হোসেন শান্তেরা। জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে জ়িম্বাবোয়ে পৌঁছে যায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯১ রানে। জবাবে জ়িম্বাবোয়ে করেছিল ২৭৩ রান। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন শান্তেরা। কিন্তু সিলেটের ২২ গজে প্রত্যাশামতো ব্যাট করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় করেন ৩৩ রান। তিন নম্বরে নেমে মোমিনুল হক করেন ৪৭। অধিনায়ক শান্তের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রানের ইনিংস। এ ছাড়া মঙ্গলবার ২১ রানে অপরাজিত থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলির অবদান ৫৮। শান্ত ম্যাচের চতুর্থ দিন সকালে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাটারেরা উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। জ়িম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজ়ারাবানি ৭২ রানে ৬ উইকেট নেন। ২০ রানে ২ উইকেট ওয়েলিংটন মাসাকাদজ়ার। বুধবার ২৫৫ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
এর পর জয়ের জন্য জ়িম্বাবোয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪। সফরকারীদের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট এবং বেন কারেন ভাল শুরু করেন। প্রথম উইকেটের জুটিতে ওঠে ৯৫ রান। তাঁরাই জয়ের ভিত গড়ে দেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিনে জ়িম্বাবোয়ের বাকি ব্যাটারেরা ২২ গজে বেশি ক্ষণ কাটাতে না পারলেও তাঁদের জয় ছিনিয়ে নিতে অসুবিধা হয়নি। একাধিক বার বৃষ্টি জ়িম্বাবোয়ের জয়ের অপেক্ষা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি।
মেহেদি হাসান মিরাজ ছাড়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনও বোলার। মিরাজ ৫০ রানে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসেও তিনি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েও বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে পারলেন না তিনি। এই নিয়ে তৃতীয় বার টেস্টে ১০ উইকেট নিলেন তিনি। এমন নজির বাংলাদেশের আর কোনও ক্রিকেটারের নেই।