২০০৫-এর ২ নভেম্বর— ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিওনেল মেসির প্রথম গোল।
২০১৫-র ২ নভেম্বর— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলে দাবি করলেন!
মেসি-রোনাল্ডো মহাদ্বৈরথে এলএম টেনের এক স্মরণীয় দিনেই সিআর সেভেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব-যুদ্ধে নতুন তাৎপর্য যোগ করলেন। যা নিয়ে বিশ্ব ফুটবলে নতুন তর্ক উঠল বলে।
মেসি হাঁটুর চোটে এখনও মাঠের বাইরে। চলতি মাসের শেষের দিকেও আর্জেন্তিনীয় মহাতারকাকে এল ক্লাসিকোতে খেলাবেন না বলে এখনই কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে। সেখানে পর্তুগিজ মহাতারকা মঙ্গলবারই নামছেন বিশ্ব ফুটবলের আর এক সুপারস্টার, বিস্ময় গোল করায় ওস্তাদ ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে টক্করে। গত মাসে দুই গোলমেশিনের যুদ্ধেও রিয়াল মাদ্রিদ-প্যারিস সাঁ জাঁ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ গোলশূন্য ছিল।
কাল বের্নাবাওয়ে গ্রুপের ফিরতি ম্যাচে রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি সাঁ জাঁ-তে মেসির এক দেশোয়ালি তারকা অ্যাঞ্জেল দি’মারিয়া-ও। যিনি এক মরসুম আগেও রোনাল্ডোর ক্লাব-সতীর্থ ছিলেন। তার পর অল্প সময়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে কল্কে না পেয়ে এখন প্যারিসে। যদিও রিয়ালের তারকা ব্রাজিলীয় সাইডব্যাক মার্সেলো সোমবার এই ম্যাচের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘‘দি’মারিয়া আমার খুব ভাল বন্ধু। দারুণ ফুটবলার। ওর জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকল।’’ নতুন রিয়াল কোচ, প্রাক্তন লিভারপুল ম্যানেজার রাফা বেনিতেজ আবার গোটা সাঁ জাঁ টিমকে ‘দারুণ’ বলেছেন। ‘‘কোনও সন্দেহই নেই, প্যারিস সাঁ জা ইউরোপের সেরা দলগুলোর একটা।’’
কিন্তু মার্সেলো, দি’মারিয়া, সাঁ জাঁ, বেনিতেজ... এ সব মেরেকেটে পার্শ্বচরিত্রের গুরুত্ব পাচ্ছে এই মুহূর্তে। ইউরোপিয়ান তথা বিশ্ব ফুটবল সমাজেই এখন সম্ভাব্য সেরা আলোচ্য বিষয়— রোনাল্ডোর এ দিনের মন্তব্য। ‘‘আমিই সেরা!’’
হ্যাঁ, মেসির চেয়েও সেরা!
মজার ব্যাপার, রোনাল্ডো এই চমকপ্রদ মন্তব্য করেছিলেন গত অগস্টে। ‘এল পাই’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। যেটা আজই প্রকাশ্যে এসেছে, সিআর সেভেনের উপর তোলা আসন্ন ডকুমেন্টারি-র প্রোমো হিসেবে। যা স্প্যানিশ সংবাদপত্র ‘এএস’ তর্জমা করামাত্র ফুটবলমহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে!
মেসির সঙ্গে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নিয়ে ঠিক কী বলেছেন রোনাল্ডো?
‘‘আমার মতে বিশ্বসেরা প্লেয়ারের র্যাঙ্কিং খুব ছোটখাটো কয়েকটা হিসেবের উপর নির্ভর করে। যেমন কে ক’টা ট্রফি জিতেছে! কে ক’টা গোল করেছে! কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমরা দু’জন কেউ কারও চেয়ে কম নই। সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথাও নেই। কিন্তু যদি গত আট বছরে আমার পারফরম্যান্স দেখা হয়, তা হলে দেখবেন আমি সব সময় টপ ফর্মে থেকেছি। আর সেটা থাকা খুব কঠিন। আর কারও নাম বলুন, যে আমার মতো এ রকম করেছে? এবং এর পরে কে এক নম্বর, কে দু’নম্বর— সেটা খুব ছোট ব্যাপারের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। যেমন, আপনার টিম অনেক ট্রফি জিতেছে কি না? হয়তো কারও কাছে মেসি সবার সেরা। আবার আমার মতে আমিই সেরা। তা ছাড়া প্রত্যেকেরই নিজের কথা ভাবা উচিত। আর সে জন্যই আমি আমার কেরিয়ারে এত কিছু অর্জন করতে পেরেছি। সে জন্যই মেসিকে অতগুলো ব্যালন ডি’অর নিতে দেখাটা আমার কাছে কষ্টকর ছিল। ভাবতাম, কেন রে বাবা? আমিও তো পোডিয়ামে উঠতে পারি ব্যালন ডি’অর নিতে! দেখুন, গত দু’বারই সেটা ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy