কাঁধের চোটে চলতি তিন টেস্টের সিরিজের বাকি অংশে তাদের এক নম্বর পেসার ডেল স্টেইনকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ওয়াকায় প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা পুরোপুরি তাদেরই। অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে ফাফ দু’প্লেসির দল এখন ঝাঁকিয়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার উপর। নিজেরা আগের দিন ২৪২-এ শেষ হওয়ার পর বিপক্ষ যখন বিনা উইকেটে ১০৫, সেই পরিস্থিতি থেকে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র দু’রানের বেশি এগোতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। স্টিভন স্মিথের দলের প্রথম ইনিংস ২৪৪ রানে থামিয়ে দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দফায় ১০৪-২। হাসিম আমলা (১) এই টেস্টে ফের একবার ব্যর্থ হলেও এলগার (৪৬ ব্যাটিং) ও দুমিনি (৩৪ নট আউট) ক্রিজে জমে গিয়েছেন।
যদিও দিনের আসল নাটক তার আগে। ওয়ার্নারের (৯৭) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে টানা হাফডজন হাফসেঞ্চুরি ও শন মার্শের (৬৩) দাপটে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি দেড়শোর বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়া সত্ত্বেও তারা পরের মাত্র ৮৬ রানে ১০ উইকেটই হারায়। টেস্টের ১৩৯ বছরের ইতিহাসে ওপেনিং পার্টনারশিপে দেড়শো বা তার বেশি রানের পার্টনারশিপের পরে অস্ট্রেলিয়ার আজকের ইনিংসের চেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার নজির আর মাত্র দু’টো! তা-ও এ দিন লাঞ্চের আগেই স্টেইন ডান কাঁধের যন্ত্রণায় মাঠ ছাড়েন। ওয়ার্নারকে তিনি আউট করার সামান্য পরের এই ঘটনার জেরে স্টেইন আর সারা দিন মাঠে ফেরেননি। রাতের দিকে জানা যায়, কাঁধের পুরনো অস্ত্রোপচারের জায়গায় ফের হাড়ে চিড় ধরা পড়ায় চলতি সিরিজেই আর নেই স্টেইন। তবে এ দিন অন্তত তাঁর অভাব বুঝতে দেননি দুই সতীর্থ পেসার ফিল্যান্ডার (৪-৫৬) ও রাবাদা (২-৭৮)। এমনকী টেস্টে অভিষেক ঘটানো দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজও তিন উইকেট তোলেন।
মহারাজকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়েই শূন্যতে আউট হন স্মিথ। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে আম্পায়ার আলিম দার এলবিডব্লিউ দিলেও সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যান ডিআরএসের নিয়মে রিভিউ চান। কিন্তু অবাক হয়ে আবিষ্কার করেন, অতটা এগিয়ে এসে খেলা সত্ত্বেও তাঁর প্যাডে লাগা বল লেগ স্টাম্পের লাইন বরাবর ছিল! হতাশ স্মিথ ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় অঙ্গভঙ্গি করে আপাতত এক টেস্ট সাসপেন্ড হওয়ার মুখে দা়ঁড়িয়ে।