নায়ক: গোল করিয়ে দলকে জেতালেন সনি নর্দে। নিজস্ব চিত্র
ম্যাচ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেও রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় মোহনবাগান সমর্থকদের ভিড়ে স্তব্ধ যান চলাচল! কাতসুমি ইউসা ও সনি নর্দে-র দেখার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়েছেন বাঁশের ব্যারিকেডের ওপরেই। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সকলের আগে বেরিয়ে এলেন জোড়া গোলের নায়ক কাতসুমি। জাপানি তারকা রাস্তায় পা রাখতেই আবেগের বিস্ফোরণ। বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে শনিবারই যেন আই লিগে খেতাব নিশ্চিত করে ফেলেছে মোহনবাগান!
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সামলাতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা পুলিশের। শেষ পর্যন্ত কাতসুমি নিজেই হাত নেড়ে সমর্থকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলেন। অথচ এই কাতসুমি-ই ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনায় হাঁটু গেড়ে বসে দু’হাতে ঘুসি মারছিলেন মাঠে। কিন্তু স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় আশ্চর্যরকম নির্লিপ্ত। এমনকী, হ্যাটট্রিক হাতছাড়া করা নিয়েও কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। কাতসুমি বললেন, ‘‘হ্যাটট্রিক করতে পারিনি বলে কোনও দুঃখ নেই। আমার কাছে দলের জয়টাই হচ্ছে আসল।’’
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি ম্যাচেও রক্ষণ ভাবাচ্ছে মর্গ্যানকে
আই লিগে পরের ম্যাচেই মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল। শনিবার থেকেই কি ফিরতি ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? কাতসুমি বলছেন, ‘‘ডার্বির আগে আমাদের এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে হবে।’’ সনি অবশ্য বললেন, ‘‘ডার্বি জিতলে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’
প্রায় কুড়ি ঘণ্টা দীর্ঘ বিমানযাত্রা করে শনিবার কলকাতায় ফিরেই অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন সনি। এ দিনও ক্লান্তি উপেক্ষা করে পুরো ম্যাচ খেললেন। নিজে গোল না পেলেও তিনটি গোলের নেপথ্যেই তিনি। উচ্ছ্বসিত হাইতি তারকা বললেন, ‘‘ফুটবল আমার জীবন। আর এই ম্যাচটার গুরুত্ব আমি খুব জানি। তাই বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবতেও পারিনি।’’ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারেই শেষ মুহূর্তে কোমরে চোট পেলেও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না সনি। বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে না চোট খুব একটা গুরুতর। আশা করছি, তিন-চার দিন বিশ্রামে ঠিক হয়ে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy