সৌজন্য: কিবুর (ডান দিকে) সঙ্গে ডগলাস। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মোহনবাগান জার্সিতে প্রচুর সুখস্মৃতি রয়েছে তাঁর।
সিনিয়র দলে খেলেছেন। পরে সবুজ মেরুন অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পেয়ে ফিফায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি ।
সেই ডগলাস দ্য সিলভা এ বার তাঁর পুরনো ক্লাবের থেকে পয়েন্ট কাড়তে হাজির কলকাতায়। আই লিগের নতুন দল মণিপুরের ট্রাউ-এর কোচ হয়ে। বুধবার কল্যাণীতে কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে কলকাতায় দশ বছর খেলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ো বললেন, ‘‘আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে দশ দিন আগে দল নিয়ে কলকাতায় এসেছি। তিন পয়েন্ট না পাই, এক পয়েন্ট চাই-ই। ’’ আসিয়ান কাপ-সহ দুই প্রধানের জার্সিতে দাপিয়ে খেলা ডগলাস খেলা দেখেছেন পুরনো দু’দলের। ট্রাউয়ের পরপর খেলা রয়েছে দুই প্রধানের সঙ্গে। সালভা চামোরোদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোহনবাগান শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ দল। সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছি না। গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এফ সি-র সঙ্গে প্রথম ম্যাচে একটা ভুল করে এক গোলে হেরে গিয়েছি। চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ছেলেরা যখন ভয় পায়নি, মোহনবাগানকে ভয় পাবে কেন?’’
বুদ্ধিমান ডগলাস জানেন, কোচের নতুন ইনিংস ঝলমলে করতে হলে কলকাতার দুই প্রধানের কাছ থেকে পয়েন্ট পাওয়া জরুরি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, আই লিগের শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যাওয়া কিবু বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার এটাই সেরা সময়। যা ফুটে উঠেছে তাঁর একটি মন্তব্যে, ‘‘মোহনবাগানে ভাল ফুটবলার অনেক। তবে সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠেনি ওরা। যত দিন যাবে, ততই ওরা শক্তিশালী হবে।’’
সবুজ-মেরুন তাঁবুতে বসে যখন ডগলাস সোমবার বিকেলে এ সব বলছেন, তখন ক্লাবের অন্দরে জোর গুঞ্জন স্পেনীয় কোচ আর কত দিন শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবে থাকবেন? ট্রাউ ম্যাচই কি তাঁর শেষ লাইফ লাইন? জোসেবা বেইতিয়াদের কোচ অবশ্য মনে হল এ সব নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। বললেন, ‘‘আমার উপরে কোনও চাপ নেই। ভাল খেলেও জিততে পারছি না। গোলের সুযোগ আসছে কিন্তু গোল হচ্ছে না। অনুশীলনে তা মেরামত করার চেষ্টা চলছে।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘চার্চিলের সঙ্গে চার গোল খাওয়া বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। কারও একার দোষে গোল হয়েছে তা মানছি না। এটা সবার ব্যর্থতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy