ডিনার টেবিলে আটলেটিকোর ‘গ্রুপফি’। ছবি: ফেসবুক।
কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে যাওয়ার আনন্দে আটলেটিকো কর্তারা হিউম-আরাতাদের বুধবার বিশেষ ডিনার দিলেন পার্ক সার্কাস সংলগ্ন এক শপিং মলের বিলাসবহুল হোটেলে।
আন্তোনিও হাবাস অবশ্য বরাবরই অন্য ভাবনার মানুষ। তিনি পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছেন এ দিন বিকেলেই। জাভি লারাদের টিমের প্র্যাকটিসে বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা শীর্ষে নই, লিগ টেবলের শেষে আছি ভেবেই পুণের মাঠে নামতে হবে এবং জিততে হবে।’’
তখনও অবশ্য গত বারের চ্যাম্পিয়ন কোচের কাছে দু’টো সুসংবাদ আসেনি। এক) রবের্তো কালোর্সের দিল্লি ডায়নামোসের কাছে ১-২ হেরেছে পুণে সিটি। দুই) দেশের হয়ে খেলতে যাওয়া তিন নির্ভরযোগ্য ফুটবলার অর্ণব মণ্ডল, রিনো অ্যান্টো এবং নাতো আজ বৃহস্পতিবারই এটিকে টিম হোটেলে এসে উঠছেন।
রাতে অন্য হোটেলে ডিনারে যাওয়ার আগে তাই রহিম নবি-জোসেমিদের মধ্যে খুশির হাওয়া। হাবাস টিমের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন— ২৪ পয়েন্ট। টিম সূত্রের খবর, ওই পয়েন্ট পেলেই নাকি সেমিফাইনালে উঠে যাবে কলকাতা। এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেলে শেষ চারে ওঠার সিড়িটা আরও মজবুত হবে কলকাতার। এ দিন পুণে হেরে গেলেও হাবাসের মতে, পুণে আইএসএলের অন্যতম শক্তিশালী টিম। ঘরের মাঠে তাদের হারানো সহজ হবে না।
টিম হোটেল আর অনুশীলন—একঘেয়েমি কাটাতে ফুটবলারদের সঙ্গে ডিনারে যাওয়ার আগে হাবাস পুণে-দিল্লি ম্যাচ টিভিতে বসে দেখেছেন বলে টিম সূত্রের খবর। এমনকী তাঁর সব ফুটবলারকেও ম্যাচটা দেখার কথা বলে দিয়েছিলেন তিনি। পুণে ম্যাচের পর আটলেটিকোর খেলা নর্থ ইস্টের সঙ্গে। তার পরেই যুবভারতীতে রবের্তো কার্লোসের দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে হবে এটিকে-কে।
এ দিকে, জুয়েল রাজার পাশাপাশি চোট পেয়ে পুণে ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন ভালদো। মঙ্গলবার কেরলের বিরুদ্ধে পরিবর্ত নেমে চোট পান তিনি। এ দিন হালকা প্র্যাকটিস করলেও চোটের জায়গায় তাঁর ব্যথা হচ্ছে বলেই খবর।
দিল্লির হয়ে এ দিন গোল করলেন রবিন সিংহ এবং রিখার্ড গাডজে। মঙ্গলবার ওমানে জাতীয় দলের হয়ে খেলে এ দিন দেশে ফিরেই মাঠে নেমে গোল করে যান রবিন সিংহ। প্রথমার্ধের প্রায় মাঝামাঝি সময় মালৌদার কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল ফেরত বেঙ্গালুরু এফসি-র এই ভারতীয় স্ট্রাইকার। আর ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে পুণের হয়ে ২-০ করে যান পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা রিখার্ড গাডজে। তবে শেষ লগ্নে রবের্তো কার্লোসের টিমের রক্ষণে মনোসংযোগের অভাব ঘটায় পুণের হয়ে সান্ত্বনা গোল করেন হৃতিক রোশনের দলের নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার কালু উচে।
তবে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যেই পেনিট্রেটিভ জোনে খেই হারানোর প্রাধান্য দেখা যায় এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy