আই লিগের ন’টি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলে। রক্ষণ শক্তিশালী করতে প্রাক্তন অধিনায়ক গুরবিন্দর সিংহকে ডাকা হল ট্রায়ালে!
ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের জমানায় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের অন্যতম ভরসা ছিলেন গুরবিন্দর। বছর দু’য়েক আগে তিনি লাল-হলুদ শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিতে। এই মরসুমে ৩৩ বছর বয়সি ডিফেন্ডারকে রাখেনি তারা। পঞ্জাবে ফিরে শিখ রেজিমেন্ট দলের হয়ে বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খেলছিলেন তিনি। সেই গুরবিন্দরকেই ডাকা হল ট্রায়ালে। সম্ভবত সইও করানো হবে তাঁকে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল-হলুদ সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ফুটবলের মূলস্রোতে না থাকা গুরবিন্দরকে কেন ডাকা হল? বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিয়ো রিভেরার ব্যাখ্যা, ‘‘ভাল মানের বিদেশি ও ভারতীয় ফুটবলার সব সময়ই আমরা খুঁজে চলেছি।’’ গুরবিন্দরের কথায়, ‘‘আমি তৈরি। কয়েক দিন অনুশীলন করলেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নেব।’’ মার্তি ক্রেসপি ও মার্কোস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিনের পরিবর্তে কবে নতুন ফুটবলার নেওয়া হবে? সতর্ক লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ বলছেন, ‘‘কাউকেই ছাড়ার কথা ভাবছি না।’’ তবে খাইমে সান্তোস কোলাদোর আচরণে তিনি অসন্তুষ্ট। আগের ম্যাচে রেফারির দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন স্পেনীয় তারকা। বিরক্ত মারিয়ো বলে দিলেন, ‘‘কোলাদো দারুণ ফুটবল। কিন্তু মাথা গরম করে ফেলছে। ওর শুধু ম্যাচেই মনঃসংযোগ করা উচিত। রেফারিং বা অন্য কিছু নিয়ে নয়।’’
১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ টেবলের শীর্ষে মোহনবাগান। এক ম্যাচ কম খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকেরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা ছেড়ে দিলেও ব্যতিক্রম মারিয়ো। তাঁর কথায়, ‘‘অঙ্কের বিচারে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারলে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব নয়।’’ কল্যাণীতে শুক্রবারের আইজল এফসি ম্যাচেই তাঁর প্রথম পরীক্ষা।
তিন বছর আগে আই লিগের চ্যাম্পিয়নেরা অবশ্য এই মরসুমে একেবারই ছন্দে নেই। ন’ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে আইজল এখন দশম স্থানে। মারিয়ো বলছেন, ‘‘অনেকেই ভাবছেন, এই ম্যাচটা জেতা খুব একটা কঠিন নয়। আমি তা মনে করি না।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে হার আমার কাছে দুর্ঘটনা। আরও দশ বার যদি ওদের মুখোমুখি হই, ন’বারই আমরা জিতব।’’