দলবদল: নতুন জার্সিতে দেখা যাবে কাতসুমিকে। ফাইল চিত্র
মোহনবাগানকে তেরো বছর পর আই লিগ জেতানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি।
জিতিয়েছেন ফেডারেশন কাপও।
গত চার বছর সবুজ-মেরুন জার্সি পরে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ছিল মনে রাখার মতো। তিনি চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন এরকম প্রায় হই-ই নি।
পালতোলা নৌকার সমর্থকদের কাছে তিনি ছিলেন আদরের ‘জাপানি বোমা’।
সনি নর্দেও দলে চেয়েছিলেন তাঁকে।
গত বছরের সঞ্জয় সেনের টিমের অধিনায়ক সেই কাতসুমি ইউসাকে তুলে নিয়ে দলবদলের বাজারে সবথেকে বড় চমক দিল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলবেন তিনি।
আল আমনার পর টিমের দ্বিতীয় এশীয় কোটার বিদেশি হিসাবে কাতসুমির মতো ফুটবলারকে পেয়ে লাল-হলুদ তাঁবু জুড়ে উচ্ছ্বাস। শীর্ষ কর্তারা বেঁকে বসা স্পনসরদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁর মধ্যেই কাতসুমির সই করার খবরে সদস্য সমর্থকদের মধ্যে আলোড়ন। সোনালি চুলের পরিচিত ফুটবলারকে নিয়ে ফেস বুক, সোস্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ছে নানা মন্তব্য।
ময়দানে অবশ্য গুঞ্জন শুরু হয়েছে মোহনবাগানের ব্রাজিলিয়ান ফিজিও গার্সিয়াকে নেওয়ার পর কাতসুমিকে নেওয়ায় দুই প্রধানের জোটে কোনও ফাটল ধরবে কী না। দু’জন কর্তাই অবশ্য সেই সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, আইএসএলে খেলা নিয়েই জোট হয়েছে। বাকিটা আগে যেমন ছিল তেমনই আছে।
আরও পড়ুন: বদলা নিয়ে শুরু সিন্ধুর অভিযান
ফুকুসিমা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ফোনে জাপানি মিডিও অবশ্য সেভাবে নিজেকে মেলে ধরেননি। কোনও বিতর্কেও জড়াতে চাননি। মোহনবাগান সম্পর্কেও কোনও কথা বলতে চাননি। মিডিয়াকে বরাবরই এড়িয়ে চলেন। তা সত্ত্বেও বললেন, ‘‘আমি পেশাদার। যেখানে যখন খেলব সেখানেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাকি যা বলার আমার এজেন্ট বলবেন।’’ তবে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে অক্টোবরে কলকাতায় আসবেন। তারপর অনুশীলনে নামব।
মোহনবাগানে গত বছর কোটি টাকার চেয়েও অনেক বেশি পেয়েছিলেন কাতসুমি। এ বার তার চেয়ে অনেক কম টাকায় লাল-হলুদে সই করেছেন বলে খবর। কিন্তু কেন তাঁরা রাখলেন না কাতসুমিকে? এক শীর্ষ কর্তা দাবি করলেন, ‘‘আমাদের টিমে খেলার জন্য যোগাযোগ করেছিল কাতসুমি, কিন্তু যে-হেতু এ বার আই লিগে আমরা অন্য ভাবনায় দল গড়েছি সেখানে কাতসুমি সেট করত না। লিগ চালু হলে সেটা দেখতে পাবেন।’’ মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনও স্বীকার করলেন, ‘‘আমি কাতসুমিকে চাইনি। ছেড়ে দিতে বলেছি ক্লাবকে।’’ কাতসুমির জায়গায় শিলং লাজংয়ের জাপানি মিডিও ইউটা কিনুয়াকিকে সই করিয়েছে।
মোহনবাগান যে দাবিই করুক, কাতসুমির মতো পরিশ্রমী এবং ধারাবাহিক ফুটবলারকে পেয়ে যাওয়ায় আই লিগে খালিদ জামিলের টিমের শক্তি অনেকটাই বাড়বে। কারণ মাঝমাঠে সব পজিসনে তো জাপানি মিডিও খেলতে পারেনই, ফরোয়ার্ডেও তাঁকে ব্যবহার করতে পারবেন লাল-হলুদ কোচ। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকার সুবাদে কাতসুমির সবকিছু জানান। পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত থাকা ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে যাবে। লাল-হলুদের এর পরের লক্ষ্য একজন ভাল বিদেশি স্ট্রাইকার। ঘানার এক ফুটবলারের সঙ্গে আলোচনা চলছে কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy