ইস্টবেঙ্গল ০
স্পোর্টিং গোয়া ০
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই হাঁটুতে হাত দিয়ে মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন ডং। টুলুঙ্গার তখন আকাশের দিকে হতাশ দৃষ্টি। হয়তো দুষলেন তাঁর ভগবানকেই। একরাশ হতাশায় ডুবে যাওয়া গ্যালারিতে তখন পিন পড়লেও শব্দ শোনা যাবে। ১২ বছর আই লিগ এল না ইস্টবেঙ্গলের ঘরে। শুক্রবারের রাতে সব আশা শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। বারাসতে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে ম্যাচ গোলশূন্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাল-হলুদের আই লিগ না পাওয়ার তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি বছর।
মর্গ্যান জমানায় পর পর দু’বার আই লিগের কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল। আবার বিশ্বজিতের জমানায় সেই একই ঘটনার অ্যাকশন রি প্লে দেখা গেল। সেই দলেরই দায়িত্ব নিতে ফিরছেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। এদিন ড্র করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্কার হয়ে গেল আর আই লিগ পাওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই ইস্টবেঙ্গলের। জিতলেও যে নিশ্চিত হত তেমনটা নয়। তাও এক চিলতে আশা থাকত। যদিও হারতে হত বেঙ্গালুরুকে। এমন অবস্থায় পয়েন্ট হারিয়ে নিজেরাই শেষ করে দিল সেই আশা। অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েই পরের ম্যাচে খেলতে নামবে বেঙ্গালুরু।
দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় দুই দলই খেলল ১০ জনে। ৫৯ মিনিয়ে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন স্পোর্টিংয়ের মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। ৮৬ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ডের জন্য মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলের নারায়ন দাসকে। এমনিতে পুরো ম্যাচে গোলমুখি আক্রমণ দেখাই গেল না তেমনভাবে। ২০ মিনিটে সঞ্জু প্রধানের একটি আক্রমণ দক্ষতার সঙ্গে বাঁচালেন স্পোর্টিং গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য। ম্যাচের সেরাও হলেন অরিন্দম।
সঞ্জু প্রধান ছাড়া ইস্টবেঙ্গলে তেমনভাবে কাউকে দেখা গেল না। উল্টোদিকে ওডাফা ওকোলি চোট সারিয়ে ফিরলেও স্পোর্টিং আক্রমণে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল না। যার ফলে ১৩ মিনিটেই তাঁকে তুলে ভিক্টোরিনোকে নামিয়ে দিলেন কোচ। ম্যাচ শেষ অরিন্দমের সঙ্গে আবার কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন রন্টি মার্টিন্স। যেন আবারও একটা বছর আই লিগ না পাওয়ার হতাশাই বেড়িয়ে আসছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের শরীরি ভাষায়।
আরও খবর
ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে এই সপ্তাহেই শহরে মর্গ্যান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy