নতুন বিদেশির সঙ্গেও ডুডুর মতো এমনই বোঝাপড়া চান র্যান্টি।
ডুডু-কে কি ইস্টবেঙ্গল রাখছে?
কোনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের প্রশ্ন নয়।
প্রশ্নকর্তার নাম র্যান্টি মার্টিন্স! গত মরসুমে লাল-হলুদ আক্রমণে ডুডুর সফল পার্টনার।
প্রিয় বন্ধু হওয়ার সুবাদে ফুটবল মাঠেও ডুডু-র্যান্টির বোঝাপড়াটা দুরন্ত ছিল। সে জন্যই বোধহয় তাঁর টিমে পরের মরসুমেও ডুডুর থাকা, না-থাকা নিয়ে সদ্যসমাপ্ত আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার এত আগ্রহ।
ক্লাব সূত্রের খবর, ডুডু যে টাকা চেয়েছেন, সেই পরিমাণ টাকা তাঁর পিছনে পরের মরসুমে খরচ করতে রাজি নন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। স্বভাবতই ডুডুর লাল-হলুদে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই-ই। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘শুধু ডুডু নয়, বাকি বিদেশি ফুটবলার এবং কোচ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পরের সপ্তাহে আলোচনায় বসতে পারি। কলকাতা লিগ র্যান্টি আর বেলোই খেলে দেবে। ওখানে তো দু’জনের বেশি বিদেশি আর খেলানো যাবে না। বাকি বিদেশি বাছার ক্ষেত্রে এ বার আমরা তাড়াহুড়ো করছি না।’’
ডুডুর ইস্টবেঙ্গলে থাকার সম্ভাবনা কার্যত নেই শোনার পর র্যান্টি মেলের মাধ্যমে বলেন, ‘‘ডুডুকে মিস করব। তবে আমরা পেশাদার ফুটবলার। যেখানে ও বেশি টাকা পাবে সেখানেই সই করবে। এটাই স্বাভাবিক। তবে সঙ্গে এটাও চাইব, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ডুডুর মতোই কোনও ভাল স্ট্রাইকার আনুক। যাতে আমরা একে অপরের সমর্থন পেতে পারি। ভাল বোঝাপড়া গড়ে ওঠে আমাদের মধ্যে। যেমন আমার আর ডুডুর মধ্যে ছিল।’’
ডুডু-র্যান্টি যুগলবন্দি ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ এনে দেবে, এমনটা আশা করা হয়েছিল, কিন্তু লাল-হলুদের সেই আশা পূরণ করতে ব্যর্থ নাইজিরিয়ান জুটি। সেই আফসোস এখনও ষোলো আনা রয়েছে র্যান্টির। আনন্দবাজারকে দেওয়া ই-মেল সাক্ষাৎকারের পরতে পরতে সেই আফসোসের কথাই ধরা পড়ছে। এই মুহূর্তে নিজের দেশে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন র্যান্টি। তাঁর ফাঁকেই মেলের উত্তরে লিখেছেন, ‘‘আই লিগে হায়েস্ট স্কোরার হওয়া আমার লক্ষ্য ছিল না। লক্ষ্য ছিল, ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ দেওয়া। কিন্তু সেটা আমি পারিনি। তাই সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফিতে আমি তৃপ্ত নই।’’ এর সঙ্গেই শপথও নিচ্ছেন নতুন মরসুমের জন্য। ‘‘নতুন বছরে নতুন লড়াই। নতুন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। আই লিগ আবার কলকাতাতেই আসবে। তবে এ বার আমার ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আসবে।’’
এ দিকে, ইস্টবেঙ্গলের কোচ কে হবেন, তা নিয়ে প্রায় রোজই কর্তাদের দফায় দফায় আলোচনা চলছে। ট্রেভর মর্গ্যান আবার লাল-হলুদের কোচ হয়ে আসবেন কি না সেটা মঙ্গলবারের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। শোনা যাচ্ছে, ব্রিটিশ কোচের টাকার অঙ্ক নিয়েই এখন ভাবনাচিন্তা চলছে। সঙ্গে আইএসএলের টিম কেরল ব্লাস্টার্সে তাঁর কোচিং করানোর ব্যাপারটাকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। মর্গ্যান গত বছরের মতো এ বছরও কেরলের টিমটির সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
র্যান্টি অবশ্য কোচ নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। উল্টে তিনি বলছেন, ‘‘পেশাদার ফুটবলার হিসেবে যে কোনও কোচের কোচিংয়েই আমি খেলতে রাজি। সে তিনি বিদেশি বা দেশি যা-ই হোন না কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy