মেহতাবের সঙ্গে স্ট্রেচিং সারছেন লাল-হলুদের নবাগত বিদেশি ডু ডং। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
কলকাতা লিগের বল এখনও গড়ায়নি। আজ বুধবার কল্যাণীতে আবাসিক শিবিরে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে ডার্বি নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করে দিলেন ইস্টবেঙ্গলে আসা নতুন বিদেশি ডং হুয়ান!
ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের বেশ কয়েকটি ভিডিও ‘ইউটিউবে’ দেখে ফেলেছেন বছর একুশের দক্ষিণ কোরিয়ার ডং। সতীর্থরা অবশ্য অনেকে যাঁকে মজা করে ডাকছেন ‘ডিং ডং’ বলে। ডার্বি ম্যাচের উত্তেজনা দেখে তিনি এতটাই তেতে গিয়েছেন যে, এই ম্যাচ খেলার জন্য যে মঙ্গলবার সকালে অনুশীলনের পর বলে দিলেন, ‘‘কলকাতায় খেলতে আসার আগেই আমি ডার্বি ম্যাচের কথা শুনেছি। ওই ম্যাচের কিছু ভিডিও-ও দেখেছি। দারুণ উত্তেজনা থাকে এই ম্যাচকে ঘিরে। কবে যে ওই ম্যাচটা হবে।’’
জানিয়ে দিলেন, নর্থ ইস্টের হয়ে আইএসএলে খেলতে এসেই ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে প্রথম ধারণা তৈরি হয় তাঁর। তার পর থেকে আই লিগ খেলা ক্লাবগুলোর খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব পেয়েই রাজি হয়ে যান। কলকাতার অসহ্য গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও ডং বলছেন, ‘‘ভাল সর্তীর্থ পাশে থাকলে যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া যায়। কলকাতা লিগে আমরা ভাল ফল করবই।’’ র্যান্টি এবং বেলো রজ্জাক এখনও শহরে এসে পৌঁছননি। তাদের সঙ্গে তাই এখনও পরিচয়ই হয়নি ডংয়ের। ফলে শুধু ডং-কে নিয়েই আজ কল্যাণী যেতে হচ্ছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন রোয়ার, জাপানের এফসি গিফুতে খেলা দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফুটবলার মূলত স্ট্রাইকারের ঠিক পিছনে খেলতে পছন্দ করেন। তবে তিনি লেফট এবং রাইট উইংয়ে খেলতেও স্বচ্ছন্দ। এ দিন বলছিলেন, ‘‘স্ট্রাইকারের পিছনে খেলতেই আমি পছন্দ করি। তবে রাইট এবং লেফট উইঙ্গার হিসেবেও বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছি। এখানে সম্ভবত র্যান্টির পিছনে আমাকে খেলতে হবে। ওর খেলা দেখেছি। সমস্যা হবে না।’’ ক্লাব কর্তাদের কাছে র্যান্টি একজন ভাল গেমমেকার চেয়েছিলেন। দেখার নাইজিরায়ান গোলমেশিনের প্রত্যাশা ডং পূরণ করতে পারেন কি না?
আইএসএলের পর আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি ডং। তবে আবাসিক শিবিরের কড়া প্র্যাকটিস সূচির মধ্যে থেকে নিজেকে পুরো ফিট করে তুলবেন আশাবাদী নতুন আসা এই বিদেশি ফুটবলার। কিন্তু প্রশ্ন হল, ডং ফিট হয়ে উঠলেও কলকাতা লিগে র্যান্টি-বেলোকে কতটা ফিট অবস্থায় পাওয়া যাবে? এই উত্তর জানা নেই লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যেরও। দুই নাইজিরিয়ান ফুটবলার কবে প্র্যাকটিসে যোগ দেবেন সেটাও ঠিক করে জানেন না তিনি। শুধু বললেন, ‘‘ওদের ভিসা সমস্যার জন্য আটকে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বলে শুনছি।’’ হরমনজোৎ খাবরা, গুরবিন্দর সিংহ, লুইস ব্যারেটোরাও সরাসরি কল্যাণীর শিবিরে যোগ দেবেন বলে খবর। তা নিয়ে লাল-হলুদের নতুন কোচ চিন্তিত।
জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত চলা শিবিরে কী ধরনের অনুশীলন করাবেন ঠিক করে ফেলেছেন বিশ্বজিৎ। অন্য কোচেদের মতো আলাদা করে মেহতাব-দীপকের হাতে না ধরিয়ে তা নোটিশ বোর্ডেও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক হয়েছে আবাসিক শিবিরে দু’বেলা করে অনুশীলন হবে। প্রথম পর্বে বল নিয়ে হলে পরের পর্বে বল ছাড়াই হবে অনুশীলন। সুইমিং থেকে জিম সব কিছুই রয়েছে আবাসিক শিবিরের সূচিতে। ২১ জুলাই পিয়ারলেসের সঙ্গে একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে। এই ম্যাচে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স দেখে বাকি সূচি ঠিক করবেন জানাচ্ছেন বিশ্বজিৎ। তবে পিয়ারলেস ছাড়াও আরও দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার ইচ্ছে আছে ইস্টবেঙ্গল কোচ। এ দিন আইএফএ অ্যাকাডেমির এক কিপার তনুময় দাস ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে যোগ দিলেন। দলের সঙ্গে তিনি কল্যাণীর আবাসিক শিবিরেও যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy