দুরন্ত: অপ্রতিরোধ্য ফখর জ়ামান। বুধবার সেঞ্চুরির পরে। ছবি সংগৃহীত।
স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন ফখর জ়ামান। গত ম্যাচে ১৯৩ রানের ইনিংস উপহার দেওয়ার পরে বুধবার সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ফের সেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটে। ১০৪ বলে ১০১ রান করলেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি ওপেনার। ৮২ বলে ৯৪ রান অধিনায়ক বাবর আজ়মের। ইমাম-উল-হক করেন ৫৭ রান। তাঁদের দাপটে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে সাত উইকেটে ৩২০ রান করে পারিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল বাকি থাকতে ২৯২ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। তেম্বা বাভুমাদের ২৮ রানে হারিয়ে ২-১ সিরিজ জিতল বাবর
আজ়মের দল।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেন ফখর ও ইমাম। ১১২ রানের জুটি গড়ে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেন পাক ওপেনাররা। ইমাম ফিরে যাওয়ার পরে অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়েন ফখর। সেখানেই বড় রানের ভিত তৈরি হয়। শেষের দিকে হাসান আলির ১১ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস বড় রানে পৌঁছে দেয় পাকিস্তানকে।
দক্ষিণ আফ্রিকাও শুরুটা খারাপ করেনি। ইয়ানেমান মালান ও এডেন মার্করাম ৫৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। কিন্তু পাক বোলিং বিভাগ কোনও জুটিই বড় হতে দেয়নি। ৭০ রান করে মালান ফিরে যাওয়ার পরে কাইল ভেরেইন (৬৬) ও আন্দিলে ফেলুকওয়েও (৫৪)দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। যদিও হ্যারিস রউফ ও হাসান আলি সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেন। তিনটি করে উইকেট নেন শাহিন শা আফ্রিদি ও মহম্মদ নওয়াজ়। দুই উইকেট রউফের। এক উইকেট হাসান আলির। সিরিজ সেরা বেছে নেওয়া হয় ফখরকে। তিনি বলেছেন, “শুরুর দিকে বল নড়াচড়া করছিল। প্রথম আট থেকে দশ ওভার ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেছি। তার পরে শট নিতে শুরু করি। সিরিজ সেরা হওয়ার চেয়েও বেশি খুশি হয়েছি সিরিজ জেতায়।”
ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় বাবরকে। তিনি বলেন, “সিরিজ জিতে খুব খুশি হয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা সহজ নয়। সেটা করতে পেরে ভাল লাগেছে।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ৩২০-৭ (ফখর ১০১, বাবর ৯৪), দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯২-১০ (মালান ৭০)। ২৮ রানে জয়ী পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy