হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের প্রথম জয় পাওয়ার পর জামশেদপুর এফসি এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগে। স্টিভ কোপেলের ফুটবলাররা চারটি ম্যাচে এখনও একটিও গোল খায়নি। ওদের রক্ষণ পেরিয়ে গোল করা দুষ্কর!
কিন্তু, রবিবার তাদের সামনে অন্য চালেঞ্জ। এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে খেলা। ওদের স্ট্রাইকাররা গোল করছেন কিন্তু ইচ্ছেমতো!
ইংরেজ কোচ কোপেল জানেন, বিপক্ষের আক্রমণ ভাগের ফুটবলারদের দক্ষতার কথা। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কোপেল বলেন, ‘‘সেরা দলগুলোর মধ্যে পুণে অবশ্যই অন্যতম। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দুই স্ট্রাইকার ওদের। মার্সেলিনি ও এমিলিয়ানো আলফারো গত বারও খুবই ভাল খেলেছিল। দু’জনের জুটিও দুর্ধর্ষ। কঠিন পরীক্ষা হবে আমাদের।’’ তিনি আরও জানান, আনাস এডাথোডিকা খেলতে পারবেন না আরও কিছু দিন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলার দিন চোট পেয়েছিলেন আনাস। কোচের কথায়, ‘‘হ্যাঁ, চোট পেয়েছে, আমাদের সঙ্গে নেই-ও এখন। বিশেষজ্ঞের কাছে ফিজিওথেরাপি করছে। এখন দলের সঙ্গে ঘুরছে না কারণ, ঘুরতে ঘুরতে চোট আরও বেড়ে যাক, আমরা কেউই চাইছি না।’’
আরও পড়ুন: চোট-আঘাতের সমস্যাই ভাবাচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ বাগানকে
আরও পড়ুন: পুরস্কার চাই? মাদ্রিদে এসো নেমার
এফসি পুণে সিটির কোচ রানকো পোপোভিচও অবশ্য স্বীকার করেছেন, জামশেদপুর এফসি-র রক্ষণ ভাঙার কাজটা সহজ হবে না। তাদের রক্ষণ সংগঠনের প্রশংসাই করেছেন সার্বীয় কোচ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার তো মনে হয়, রক্ষণের দিক থেকে ওরা এ বারের সেরা সংগঠিত দল। এখনও পর্যন্ত একটাও বল ঢোকেনি ওদের জালে। তাই আমাদের কাজটা যে আদৌ সহজ হবে না! কিন্তু, আমাদের চ্যালেঞ্জ ওদের ওই দুর্ভেদ্য রক্ষণ পেরিয়ে গোল করা। রবিবারের ম্যাচটা বেশ উত্তেজক হতে চলেছে, এটা নিশ্চিত।’’
জামশেদপুর রক্ষণ ভাঙতে বদ্ধপরিকর পোপোভিচের ছেলেরা।
জামশেদপুরের মাঠ নিয়ে অবশ্য সবারই চিন্তা রয়েছে। বিশেষত প্রথম দিনের খেলার সময় যা অবস্থা হয়েছিল, তা দেখার পর। তবে, পোপোভিচ মাঠের অবস্থাকে অজুহাত করতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘‘খেলতে তো হবেই। সুতরাং আশা করতে পারি, এ বার একটু ভাল থাকবে।’’ ঘরের বাইরে খেলা তাঁর দলের কাছে অসুবিধাজনক কি না প্রশ্নে পোপোভিচ সরাসরি জানিয়েছেন, ‘জামশেদপুর এফসি-কেও বাইরের মাঠে গিয়ে খেলতে হবে জনসমর্থনের বিপক্ষে গিয়ে। তাই, এ ব্যাপারে কিছু বলাই অর্থহীন। সবার ক্ষেত্রেই তো পরিস্থিতি এক। ভারতের সেরা ফুটবল অ্যাকাডেমি জামশেদপুরে, এখানকার মানুষ ফুটবল ভালবাসেন।’’