পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ বিশ্ব র্যাপিড ও ব্লিৎজ় দলগত দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরছেন। তিনি ‘ফ্রিডম’ দলের হয়ে খেলবেন। এই দলে এক মাত্র ভারতীয় আনন্দই। যেখানে মোট ১০৪ জন গ্র্যান্ডমাস্টারকে দেখা যাবে। এর মধ্যে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে থাকা পাঁচজন আছেন।
এই প্রতিযোগিতায় সবাই এগিয়ে রাখছেন ডব্লিউআর দাবা দলকে। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন রাশিয়ার ইয়ান নেপোমনিশি, তিনি টপ বোর্ডের দায়িত্ব সামলাবেন। ম্যাগনাস কার্লসেন এই প্রতিযোগিতায় খেলছেন না। সম্প্রতি নরওয়ে দাবা প্রতিযোগিতা গুকেশের কাছে হেরে মেজাজ হারানোয় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কার্লসেন। অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও চাপের মুখে ভুল করে বসায় তিনি গুকেশের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তার পরই বোর্ডে ঘুসি মেরে বসেন। অবশ্য পরে তিনি গুকেশের প্রশংসাও করেছিলেন। তবে বিশ্বের এক নম্বর ফিডের কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া টপ বোর্ডে থাকবেন ভারতের অর্জুন এরিগাইসিও। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় বোর্ডে থাকবেন ভারতের পি হরিকৃষ্ণ।
এ ছাড়া আছেন জুনিয়র বিভাগে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভি প্রণব। সঙ্গে আর এক ভারতীয় লিউক লিয়ন মেনডোনকা। যিনি ডি গুকেশ, আর প্রজ্ঞানন্দ, অর্জুন এবং অরবিন্দ চিতাম্বরমের পরে ভারতীয় দাবার আর এক উঠতি তারকা। নিহাল সারিনকেও দেখা যাবে এই প্রতিযোগিতায়। তিনি প্রতিনিধিত্ব করবেন পঞ্চম বাছাই আশদোদ এলিট চেস ক্লাবকে। নিহাল এবং আনন্দ টপ বোর্ডে শীর্ষবাছাই হিসেবে খেলবেন অর্জুনের মতো। তবে এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গুকেশও। ডব্লিউআর চেস টিম-এ আছেন নেপোমনিশি ছাড়াও ফিরৌজ়া আলিরেজ়া, ম্যাক্সিম ভাশিয়ের লাগ্রেভ, হিকারু নাকামুরা, আলেকজান্দ্রা কস্টেনুয়িক ওওয়েসলি সো।
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক রাউন্ডে এক জন মহিলা দাবাড়ু এবং এক জন ফিডে রেটিংয়ে ২২০০-র কম থাকা কোনও দাবাড়ুকে খেলাতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে খেলা হবে ছ’টি বোর্ডে। জয়ীরা পাবেন ১১০০০০ (প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা) এবং ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা) পুরস্কারমূল্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)