ইস্টবেঙ্গল রোডের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। —নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়িতে উন্মোচন হল ইস্টবেঙ্গল রোড। উত্তরবঙ্গের এই শহরকে বরাবরই লাল-হলুদের শহর বলা হয়। সেখানে কিছু দিন আগেই মোহনবাগান অ্যাভিনিউ হয়েছিল। এ বার লাল-হলুদের নামেও রাস্তা হল শিলিগুড়িতে।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সংলগ্ন সুইমিং পুলের সামনের রাস্তার নামকরণ হল ইস্টবেঙ্গল রোড। বিগত কয়েক দিন ধরেই এই রাস্তায় উৎসবের মেজাজ। রাস্তার নামকরণের জন্য দেওয়াল লিখন হয়েছে, গোটা এলাকা লাল-হলুদ পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রবিবার বিকেলে গোটা শহর জুড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বার করেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। লাল-হলুদ রঙের আবির ওড়ানো হয়। ইস্টবেঙ্গল রোডের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও।
ওই অনুষ্ঠানে দেবব্রত বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দ্বিতীয় আঁতুড় ঘর উত্তরবঙ্গ। বিভিন্ন সময় এখানকার মানুষেরা ক্লাবের খোঁজ খবর নেন। আজ এক ঐতিহাসিক দিন। ইস্টবেঙ্গল রোড নামকরণের জন্য মেয়র গৌতম দেব-সহ সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আমাদের দাবি থাকবে এখানে একটা অ্যাকাডেমি তৈরি হোক। যে অ্যাকাডেমি থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সি পরে খেলোয়াড়রা মাঠে নামবে।”
মোহনবাগান অ্যাভিনিউ তৈরি হওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল রোডের দাবি উঠেছিল শিলিগুড়িতে। যদিও শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের নামেই আগে রাস্তা তৈরি হয়। ২ এপ্রিল মোহনবাগান অ্যাভিনিউ তৈরি হয়েছিল। ২৮ দিন পর হল ইস্টবেঙ্গল রোড। শিলিগুড়ির মহানন্দা ব্রিজ সংলগ্ন এয়ারভিউ মোড় থেকে যে রাস্তা নিরঞ্জন ঘাটের দিকে নামে, সেই রাস্তা ধরে সূর্য সেন পার্ক পর্যন্ত রাস্তার নাম রাখা হয়েছে ‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউ।’ সেই অনুষ্ঠানে পড়শি ক্লাবকে খোঁচা দেন মোহবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যেটা প্রথমে হয় সেটাই সবাই মনে রাখে। এর পর অনেক কিছু হবে। কিন্তু সেই সব কেউ অত মাথায় রাখবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy