ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র।
একটি সংস্থার হয়ে লাই ডিটেক্টরের (সত্যি বলছেন কি না জানার যন্ত্র) সামনে পরীক্ষা দিতে বসলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে “হ্যাঁ” বা “না” বলতে বলা হয় রোনাল্ডোকে। আর যন্ত্রের কাজ ছিল, রোনাল্ডো সত্যি কথা বলছেন কি না তা জানানো। রোনাল্ডোকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি সর্বকালের সেরা স্কোরার কি না? উত্তরে রোনাল্ডো বলেন, “হ্যাঁ।” লাই ডিটেক্টর জানায় যে রোনাল্ডো সত্যি কথা বলছেন।
রোনাল্ডোকে আরও নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে ছিল, পর্তুগাল ফুটবল বিশ্বকাপ জিতবে, এটা রোনাল্ডো বিশ্বাস করেন কি না। পর্তুগালের অধিনায়ক উত্তরে হ্যাঁ বলেন। কিন্তু লাই ডিটেক্টর জানায় যে, রোনাল্ডো সত্যি বলছেন না। তাতে রোনাল্ডো বলেন, “কী ভীষণ নৈরাশ্যবাদী!” রোনাল্ডোকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি ঘুমানোর সময় নাক ডাকেন কি না। আল নাসেরের ফুটবলার বলেন, “না।” কিন্তু লাই ডিটেক্টর জানায় যে, এটাও সত্যি নয়।
কাতার বিশ্বকাপের পর রোনাল্ডো আল নাসেরে যোগ দেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রোনাল্ডোর সৌদি আরবের ক্লাবে খেলতে যাওয়ার প্রভাব ইউরোপিয়ান ফুটবলের উপরেও পড়ে। একের পর এক প্রথম সারির ফুটবলার সৌদির বিভিন্ন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন। সেই তালিকায় নেমারের মতো ফুটবলারও রয়েছেন। লিয়োনেল মেসিকেও সৌদিতে আনার চেষ্টা করেছিল আল হিলাল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। মেসি না এলেও একাধিক ফুটবলার সৌদির বিভিন্ন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। রোনাল্ডো সর্বকালের সেরা গোল স্কোরার কি না সেটা নিয়ে তর্ক হতেই পারে। কিন্তু তাঁর সৌদিতে আসা যে বাকিদের উপর প্রভাব ফেলেছে সেটা বলাই যায়।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের হয়ে ১২৩টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। স্পোর্টিং ক্লাব দ্য পর্তুগাল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস এবং আল নাসেরের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৭২৭টি গোল করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৮৫০টি গোল করে ফেলেছেন রোনাল্ডো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy