Advertisement
E-Paper

বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা অর্জন করে নিল আর্জেন্টিনা, গত বারের চ‍্যাম্পিয়নদের হাতে পর্যুদস্ত ব্রাজিল

বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা অর্জন করে নিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারাল গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা। চতুর্থ দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট পেল লিয়োনেল মেসির দেশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ০৭:৫০
উচ্ছ্বাস আর্জেন্টিনার।

উচ্ছ্বাস আর্জেন্টিনার। ছবি: রয়টার্স।

সম্মানের লড়াইয়ে ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার রাতে (ভারতীয় সময় বুধবার ভোরে) ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে ৪-১ গোল হারাল তারা। বুয়েনোস আইরেসে হওয়া এই ম্যাচে আগাগোড়া আর্জেন্টিনার দাপট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাত্র এক পয়েন্ট দরকার ছিল আর্জেন্টিনার। লিয়োনেল স্কালোনির ছেলেরা মাঠ ছাড়লেন তিন পয়েন্ট নিয়েই। ব্রাজিলের যোগ্যতা অর্জন এখনও ঝুলে রইল। এই নিয়ে বিশ্বকাপে চারটি দেশ যোগ্যতা অর্জন করল। জাপান, নিউ জ়িল্যান্ড, ইরানের পর আমেরিকার টিকিট নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনাও।

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় চার মিনিটেই। বক্সের বাইরে পাস পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেজ। ব্রাজিলের ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে কোনও মতে বল নিজের দখলে রাখেন। এর পর জোরালো শটে পরাস্ত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক বেন্টোকে।

আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল করে ১২ মিনিটে। বক্সের বাইরে বল পেয়ে ক্রস করেছিলেন নাহুয়েল মোলিনা। ব্রাজিলের রক্ষণ তা ক্লিয়ার করতে পারেনি। ব্রাজিলের ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে তা পৌঁছয় এনজো ফার্নান্দেজের কাছে। তিনি খুব কাছ থেকে শটে গোল করেন।

১২ মিনিটে দু'গোলে এগিয়ে গিয়ে উত্তাল হয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম। সমর্থকেরা ‘ওলে ওলে’ গান গাইতে শুরু করে দেন। চোটের কারণে এই ম্যাচে লিয়োনেল মেসি বা নেমার কেউই ছিলেন না। মেসিকে ছাড়াও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের বিনোদনের কোনও অভাব হয়নি। এতটাই ভাল খেলছিলেন বাকি ফুটবলারেরা। অন্য দিকে, ব্রাজিলকে বেশ ছন্নছাড়া লাগছিল। দলে কার কী দায়িত্ব, সেটাই কেউ বুঝতে পারছিলেন না। গোটা ম্যাচেই তা স্পষ্ট বোঝা গেল। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগোদের সে ভাবে খুঁজেই পাওয়া গেল না।

তবু ব্রাজিল একটি গোল শোধ করে ২৬ মিনিটে। এর জন্য দায়ী আর্জেন্টিনার রোমেরো। বল পেয়ে তিনি অনায়াসে কোনও সতীর্থকে পাস দিতে পারতেন। তা না করে অকারণে বেশি ক্ষণ পায়ে বল রাখতে গেলেন। সেই সময় ম্যাথিউস কুনহা তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নেন। আর্জেন্টিনার বক্সের মধ্যে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় পরাস্ত করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে।

আর্জেন্টিনা তৃতীয় গোল করে প্রথমার্ধেই। ছোট কর্নার থেকে তারা ব্রাজিলের গোলমুখ খোলার চেষ্টা করতে থাকে। এনজো বল পেয়েছিলেন বক্সের বাইরে। তিনি বল ভাসালে প্রথম প্রয়াসেই গোল করেন আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। এর পরেই দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকোর একটি ফাউলের পর ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন রাফিনহা। যদিও রেফারি পরিস্থিতি সামাল দেন। বিরতির পরেও ঝামেলা হয়। খেলোয়াড়েরা মাঠ ছাড়ার সময় রোমেরোর সঙ্গে ঝামেলা করেন রাফিনহা।

বিরতির পর ব্রাজিল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও পারছিল না। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও তারা কাজে লাগাতে পারছিল না। অন্য দিকে, আর্জেন্টিনা চেষ্টা করেই যাচ্ছিল ব্যবধান বাড়ানোর। ব্রাজিলের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে কয়েক বার গোলমুখ খুলেও ফেলেছিল। তবে গোল করতে পারেনি। সেই প্রয়াস সফল হয় ৭১ মিনিটে।

ঠিক তিন মিনিট আগে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন জিউলিয়ানো সিমিয়োনে, যিনি আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ তথা আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার দিয়েগো সিমিয়োনের ছেলে। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গোল করেন তিনি। বাঁ দিক থেকে একটি ক্রস ব্রাজিলের বক্সে ভেসে এসেছিল। আর্জেন্টিনার কেউ পাননি। বল বেরিয়েই যাচ্ছিল। হঠাৎ ডান দিক থেকে ছুটে এসে ব্রাজিল ফুটবলারদের অসতর্কতার সুযোগে জোরালো শটে বল জালে জড়ান সিমিয়োনে। তত ক্ষণে অবশ্য ব্রাজিলের পরাজয় নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল।

Argentina Brazil
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy