সেল্টিক-কে ২-১ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। নেপথ্যে মাইকেল ওলিসে-হ্যারি কেন যুগলবন্দি।
শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের প্লে-অফের প্রথম পর্বের দ্বৈরথ শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল সেল্টিক। যদিও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় যায় গোল। এই ধাক্কাই বদলে দেয় বায়ার্নকে। একের পর এক আক্রমণে হ্যারিরা নাজেহাল করে দেন প্রতিপক্ষকে।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে দুর্দান্ত গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ওলিস। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই দুরন্ত ভলিতে ২-০ করেন হ্যারি। সেই সঙ্গে উয়েফার ক্লাব প্রতিযোগিতায় ৬০ গোল করা প্রথম ইংরেজ ফুটবলারও হলেন হ্যারি। ৭৯ মিনিটে সেল্টিকের দাইজেন মায়েদা ব্যবধান কমালেও বায়ার্নের জয় আটকাতে পারেননি।
ম্যাচের পরে ইংরেজ স্ট্রাইকার বলেন, “অনেক জায়গায় আরও ভাল করা উচিত ছিল। পরের সপ্তাহে নামার আগে সেই ভুলগুলো চিহ্নিত করে নিজেদের আরও উন্নত করতে হবে। ঠিক সময়ে আমরা গোল করেছি।” আরও যোগ করেন, “শেষ দিকে ওরা আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। সেই সময় আমরা নিজেদের উপরে বিশ্বাস হারাইনি। যখনই এই রকম হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে কেউ জেতে, তখন সেই দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেশি থাকে।”
বায়ার্ন মিউনিখের জয়ের রাতে এসি মিলানকে ১-০ হারিয়ে অঘটন ঘটাল ফেইনুর্দ।
ঘরের মাঠে খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ক্লাব। গোল করেন ইগর পাইশিয়াও। সমতা ফেরানোর জন্য শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত এসি মিলান মরিয়া চেষ্টা করে। কিন্তু একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয় পর্বের দ্বৈরথে ঘরের মাঠে ফেইনুর্দকে হারিয়ে এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে কি না, এখন সেটাই দেখার।

নজরে: মিলানকে হারিয়ে চমক ইগরের। বুধবার। ছবি: রয়টার্স।
বুধবার রাতে ধাক্কা খেল ইটালির আর এক ক্লাব আটলান্টাও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের প্লে-অফের প্রথম পর্বে ১-২ হারল। ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফেরান জুগলা এগিয়ে দেন ব্রাহাকে। ৪১ মিনিটে মারিয়ো পাসালিচ সমতা ফেরান। কিন্তু সংযুক্ত সময়ে (৯০+৪ মিনিট) নাটকীয় ভাবে ম্যাচের রং বদলে দেন দেন গুস্তাফ নিলসন। পেনাল্টি গোল করে ব্রাহার জয় নিশ্চিত করেন।
জিতল বেনফিকাও। বুধবার রাতে মোনাকো-কে তাদের ঘরের মাঠে ১-০ হারায় পর্তুগালের ক্লাব। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে বেনফিকাকে এগিয়ে দেন ভ্যাঙ্গেলিস পাভলিদিস। চার মিনিটের মধ্যে ফের বিপর্যয় নেমে আসে মোনাকো শিবিরে। লাল কার্ড দেখেন আল-মুসরাতি। এই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফ্রান্সের ক্লাব।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)