গাড়ি উপহার পেলেন রোনাল্ডো। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিতে হয়েছে তাঁর দেশকে। এই মুহূর্তে হয়তো হাতে কোনও ক্লাব নেই। কিন্তু মেজাজেই রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের পর নতুন ক্লাবের খোঁজে প্রথমে স্পেন, পরে দুবাইয়ে গিয়ে অনুশীলন করলেও, আবার পর্তুগালে ফিরে এসেছেন রোনাল্ডো। বড়দিন উদ্যাপন করলেন পরিবারের সঙ্গেই। বান্ধবীর থেকে উপহার পেলেন বহু মূল্যের গাড়ি।
রবিবার রাতে রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেস ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে রোনাল্ডোকে বড়দিনের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। নিজের বাড়ি এক ঝলক ঘুরিয়ে দেখান জর্জিনা। প্রথমেই রোনাল্ডোকে দেখা যায় মেয়েকে কাঁধে নিয়ে। এর পরই রোনাল্ডোকে নতুন বহু মূল্যের গাড়ি দেখান জর্জিনা। লাল ফিতেয় সেটি বাঁধা ছিল। জানা গিয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় সেই গাড়ির দাম আড়াই কোটি টাকা। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার বেশ কিছু ব্যাগ এবং ছেলেমেয়েদের জন্য সাইকেলও কিনেছেন জর্জিনা। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে জর্জিনা লিখেছেন, “একটা দারুণ ক্রিসমাসের রাত। ধন্যবাদ সান্তা।” রোনাল্ডো সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিডিয়োর একটি অংশ তুলে ধরেন নিজেদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। সেখানে লেখেন, “আমার ভালবাসা, তোমায় অনেক ধন্যবাদ।”
কিছু দিন আগে জর্জিনায় একটি পোস্ট করে রোনাল্ডোর মানসিক অবস্থার ব্যাপারে জানান। গত এপ্রিলে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানের মৃত্যু তাঁদের জীবন এলোমেলো করে দিয়েছিল। যমজ সন্তান হবে জানার পর থেকে উচ্ছ্বসিত ছিলেন রোনাল্ডো এবং জর্জিনা। কিন্তু জন্মের কয়েক দিন পর মৃত্যু হয় পুত্রসন্তানের। জর্জিনা বলেন, ‘‘এত কঠিন বছর কখনও আসেনি আমাদের জীবনে। সন্তানের মৃত্যুর মতো দুঃখজনক কিছু ঘটতে পারে আমরা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। মা-বাবা হিসাবে চরম কষ্ট পেয়েছি আমরা। সদ্যোজাত মেয়েই আমাদের তখন শক্তি জুগিয়েছে। আশা দেখিয়েছে। আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। জীবনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।’’
একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে জর্জিনা জানান, ২০২২ তাঁদের জীবনে খুশির থেকেও বেশি কষ্ট এনেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘এমন কিছু ঘটনা আমাদের সঙ্গে ঘটেছে, যেগুলো চাইলেও আমরা কখনও ভুলতে পারব না।’’ জর্জিনা জানিয়েছেন, ‘‘সন্তানরাই এখন আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যাই করি ওদের কথা ভেবে করি। বলতে পারেন এখন আমি সব অর্থেই সম্পূর্ণ মা। কখনও কখনও ওরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তা-ও আমি ওদের সব কিছুর সঙ্গে থাকতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy