আই-লিগে এ বছর অবনমন না-ও হতে পারে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) আপিল কমিটি অবনমনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে আপাতত স্বস্তিতে দিল্লি এফসি এবং এসসি বেঙ্গালুরু। চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত কোনও দলকে নীচের ডিভিশনে নামিয়ে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে আপিল কমিটি।
পয়েন্ট তালিকায় শেষ দুটি স্থানে ছিল দিল্লি এফসি এবং এসসি বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ২১। দিল্লির পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ১৪। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী মরসুমে তারা আই-লিগ খেলতে পারবে না। এআইএফএফ-র একটি নীতিগত সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে অবনমন আটকাতে আবেদন করে দুই ক্লাব। তাদের যুক্তি ছিল, এআইএফএফ-র ‘ভিশন ২০৪৮’ প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ দল নিয়ে আই-লিগ করার কথা বলা আছে। তাদের আরও বক্তব্য ছিল, আইএসএলে অবনমন না থাকায় আই-লিগে অবনমন যুক্তিহীন। দুই ক্লাবের কর্তৃপক্ষ প্রথমে ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁদের আবেদন আপিল কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয়।
বেঙ্গালুরুর অভিযোগ, নামধারী এফসি তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) থাকা এক ফুটবলারকে খেলিয়েছিল। প্রতিযোগিতার নিয়মের অস্বচ্ছতার সুযোগ নিয়ে ওই ফুটবলারকে খেলানো হয়েছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী, সেই ম্যাচের তিন পয়েন্ট তাদেরই পাওয়া উচিত। বেঙ্গালুরুর এই আবেদন মেনে নেওয়া হলে অবনমনের আওতায় চলে আসতে পারে অন্য একটি ক্লাব।
আপিল কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ ট্যান্ডন। কমিটি অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছে, ‘‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে, অবনমন সংক্রান্ত যে কোনও নির্দেশ স্থগিত রাখা উচিত এবং চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর করা উচিত নয়।’’ পর্যবেক্ষণে কমিটি জানিয়েছে, অতীতে কয়েক বার আই-লিগে অবনমন রাখেনি এআইএফএফ। তাই বিষয়টি বাধ্যতামূলকও নয়। আপিল কমিটির পরবর্তী শুনানি ৩০ মে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া, দিল্লি-সহ চারটি ক্লাব ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত’ খেলোয়াড় খেলানোর অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। আদালত এখনও রায় দেয়নি। এর আগে ইন্টার কাশী এবং চার্চিল ব্রাদার্সের মধ্যেও চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। আপিল কমিটি চার্চিলকে আই-লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করায় কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে চ্যালেঞ্জ করেছেন কাশী কর্তৃপক্ষ।