যুবভারতীতে মঙ্গলবার বিকেলে অনুশীলন থামিয়ে ফুটবলারদের মাঠের মাঝখানে ডেকে নিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ হোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা। গেলেন না একমাত্র দিমিত্রি পেত্রাতস। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ক্লান্তিহীন ভাবে তিনি ফাঁকা গোলে শট মারছিলেন।
অর্ধেক মাঠে ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে মলিনা অনুশীলন ম্যাচ শুরু করলেন। দেখা গেল বল পেলেই সময় নষ্ট না করে গোল লক্ষ্য করে মারছেন দিমিত্রি ও জেসন কামিংস। লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেই চোখে-মুখে হতাশা ফুটে উঠছে। আইএসএলে চলতি মরসুমে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে মোহনবাগান। সমর্থকরা টানা দ্বিতীয় বার লিগ-শিল্ড জয়ের আগাম উৎসবও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু মনে শান্তি নেই দুই অস্ট্রেলীয় তারকার।
জেমি ম্যাকলারেন গোলের সরণিতে ফিরেছেন। পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। ১৯ ম্যাচে আটটি গোল করেছেন অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার। দিমিত্রি শেষ গোল করেছেন গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। কামিংস গোল করেছিলেন গত ২ জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে।
গত মরসুমে আইএসএলে ২৩ ম্যাচে দিমিত্রি গোল করেছিলেন ১০টি। কামিংসের গোলসংখ্যা ছিল ১২টি। এ বার ১৭ ম্যাচে মাত্র দু’টি গোল করেছেন দিমিত্রি। দু’টি ম্যাচ বেশি খেলা কামিংসের গোল চারটি। অথচ রক্ষণের অন্যতম ভরসা শুভাশিস বসু ইতিমধ্যেই গোল করে ফেলেছেন ছ’টি। এমনকি আর এক ডিফেন্ডার টম আলড্রেড পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলে চার গোল করেছেন। কোচ যদিও দিমিত্রি, কামিংসের পাশেই রয়েছেন। বারবারই তিনি দাবি করেছেন, দুই অস্ট্রেলীয় তারকাকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। স্পেনীয় চাণক্যের কথায়, ‘‘স্ট্রাইকাররাই শুধু গোল করবে, আমি মনে করি না। রক্ষণকেও সাহায্য করতে হবে ওদের।’’ কোচ পাশে দাঁড়ালেও দিমিত্রি ও কামিংসকে যে গোল করতে না পারার যন্ত্রণা ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে, কেরল ম্যাচের চার দিন আগে অনুশীলনেই স্পষ্ট।
কার্ড সমস্যায় কেরলের বিরুদ্ধে নেই গ্রেগ স্টুয়ার্ট। চোটের কারণে ধোঁয়াশা রয়েছে সাহাল আব্দুল সামাদ, আশিস রাই ও অনিরুদ্ধ থাপার খেলা নিয়েও। তিন তারকাই মঙ্গলবার অনুশীলন করেননি। ফলে প্রথম একাদশে দিমিত্রি ও কামিংসের মধ্যে কোনও এক জনের ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। আর তাই যেন আরও মরিয়া হয়ে উঠেছেন দুই অস্ট্রেলীয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)