চেন্নাইয়িনের কাছে ঘরের মাঠে হারের পরেই ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো জানিয়েছিলেন, তিনি প্লে-অফের ভাবনা ঝেড়ে ফেলে সুপার কাপ এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। তবে ইস্টবেঙ্গলের প্লে-অফের সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। মহমেডান ম্যাচের আগে পর্যন্ত অঙ্কের হিসাবে এখনও প্রথম ছয়ে শেষ করতে পারে তারা। তবে অনেক শর্তের উপর বিষয়টি নির্ভর করছে।
ইস্টবেঙ্গলের এখন ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। রয়েছে একাদশতম স্থানে। ছয়ে থাকা মুম্বইয়ের ২০ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম ছয়ে শেষ করতে হলে ন্যূনতম ৩১ পয়েন্ট পেতেই হবে। এর পরেই আসছে বাকি অঙ্ক।
১) ইস্টবেঙ্গলকে নিজেদের বাকি প্রতিটি ম্যাচেই জিততে হবে। তাদের খেলা বাকি মহমেডান, পঞ্জাব, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং নর্থইস্টের বিপক্ষে। এর মধ্যে পঞ্জাব ও নর্থইস্টের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে হবে। পাঁচটি ম্যাচেই জিতলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হবে ৩৩।
২) নর্থইস্টকে বাকি তিনটি ম্যাচেই হারতে হবে। সে ক্ষেত্রে তারা ৩২ পয়েন্টেই আটকে থাকবে। পাশাপাশি পঞ্জাবকে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের পরেও অন্তত তিন পয়েন্ট হারাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তারা ৩৩ পয়েন্টের বেশি এগোতে পারবে না।
৩) কেরল ব্লাস্টার্সকে অন্তত সাত পয়েন্ট এবং ওড়িশাকে অন্তত ছয় পয়েন্ট হারাতে হবে। সে ক্ষেত্রে কেরল এবং ওড়িশা দু’দলই ৩২ পয়েন্টে আটকে থাকবে। পাশাপাশি চেন্নাইয়িনকে বাকি চারটি ম্যাচের অন্তত একটিতে পয়েন্ট হারাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে।
আরও পড়ুন:
এতগুলি দলের ফলাফল ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে যেতে পারে, এমন আশা হয়তো অতি বড় সমর্থকও করবেন না। তবে দল যে দৌড়ে রয়েছে, এটা ভেবেই কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারেন সমর্থকেরা।