ইংল্যান্ডের জার্সিতে থাকা এই ক্রস নিয়েই বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের জার্সি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। জার্সি প্রস্তুতকারক সংস্থাও জবাব দিয়েছে। কিন্তু জার্সিতে জাতীয় পতাকা বিকৃত করা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের নতুন জার্সির পিছন দিকে সেন্ট জর্জের ক্রস রয়েছে। এই ক্রস ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকায় থাকে। সাদা পতাকার উপর লাল রঙের ক্রস। কিন্তু দেশের ফুটবল জার্সিতে ওই ক্রসের রং নীল এবং বেগনি। যা জাতীয় পতাকার অপমান বলে মনে করছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী সুনক এই প্রসঙ্গে বলেন, “আসল রংটাই ভাল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি জাতীয় পতাকার রং বদলানো উচিত নয়। জাতীয় পতাকা আমাদের সম্মানের, গর্বের। সেটাকে নিয়ে এমন ছেলেখেলা করা উচিত নয়।”
ইংল্যান্ডের জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা যদিও বলেছে, “খেলার ছলেই এটা করা হয়েছে। কাউকে অপমান করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের ফুটবল বিশ্বকাপ জয়কে সম্মান জানানোর জন্যই আমরা জার্সিতে এই বদল করেছি।”
ইংল্যান্ডের জার্সি নিয়ে বিতর্ক দেশের সর্ব স্তরেই। দেশের সংস্কৃতি সচিব লুসি ফ্রেজারও জার্সির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, “সেন্ট জর্জ ক্রস যদি লাল রঙের না হয়, আমি তাহলে সেটাকে সেন্ট জর্জ ক্রস বলতেই চাই না।” লেবর লিডার স্যর কেইর স্টারমারও সেন্ট জর্জ ক্রসের বিরুদ্ধে।
ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা যদিও জার্সি তৈরি সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছে। ফুটবল সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই দলকে সম্মান জানিয়ে দেশের নতুন জার্সি তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু বদল করা হয়েছে জার্সিতে। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড দলের অনুশীলন জার্সিতে যে রং ছিল, সেটাই ব্যবহার করা হয়েছে জার্সির পিছনের ক্রসে। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ক্রসের রং বদল এই প্রথম নয়। আগেও হয়েছে। ইংল্যান্ডের পতাকায় যে সেন্ট জর্জ ক্রস রয়েছে তা নিয়ে আমরা গর্বিত।”
শনিবার রাতে ওয়েম্বলির মাঠে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড এবং ব্রাজিল। প্রীতি ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। ইংল্যান্ড ফুটবল সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “মাঠে ইংল্যান্ডের পতাকা থাকবে। সেখানে সেন্ট জর্জ ক্রসও থাকবে। সমর্থকদের জন্য যা একতার প্রতীক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy