প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পরেও হার মানেনি আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছেন মেসিরা। —ফাইল চিত্র
প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছিল সৌদি আরবের কাছে। প্রথম ম্যাচেই ঘিরে ধরেছিল ছিটকে যাওয়ার ভয়। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। শুধু ঘুরে দাঁড়ানো নয়, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে পড়েছেন লিয়োনেল মেসিরা। কিন্তু কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াল দল? কোন মন্ত্রে হল অসাধ্যসাধন?
সৌদির কাছে হারের পরে মেসি বলেছিলেন, ‘‘আমরা মারা গিয়েছি।’’ সত্যিই, দলের তেমনটাই অবস্থা হয়েছিল। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিজেদের ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। রাতে খাবার খেতেও নামতে চাইছিলেন না কেউ।
সেই সময় দু’টি সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। সবাইকে একসঙ্গে খাবার খেতে ডাকেন তিনি। তার পর থেকে মেসিরা একই সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ থেকে নৈশভোজ, সব করছেন। সে দিন খাবার খেতে খেতে স্কালোনি জানিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার অনুশীলনের সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে দুপুর ৩টেয় করা হয়েছে। কাতারের গরমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। স্কালোনি আরও জানিয়েছিলেন, ফুটবলাররা অনুশীলনে তাঁদের পরিবারকে নিয়ে আসতে পারবেন।
পরের দিন থেকে এক নতুন দৃশ্য দেখা যায় আর্জেন্টিনার অনুশীলনে। পরিবারের সামনে ফুরফুরে মেজাজে চলতে থাকে প্রস্তুতি। দলের মধ্যে যে বদ্ধ পরিবেশ ছিল তা হঠাৎ বদলে যায়। সেখান থেকে ফুটবলাররা নতুন করে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে।
শুধু তাই নয়, দলে বেশ কয়েকটি বদল করেন কোচ স্কালোনি। এনজো মার্তিনেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, নাহুয়েল মোলিনা, মার্কোস আকুনার মতো ফুটবলাররা সুযোগ পান প্রথম একাদশে। খেলার ধরনও বদলে দেন স্কালোনি। ৩-৫-২ ফর্মেশনে চলে আসেন তিনি। রক্ষণ মজবুত করে মাঝমাঠ আরও শক্তিশালী করেন। পাবলো আইমার, ওয়াল্টার স্যামুয়েল ও রোবের্তো আয়ালার সঙ্গে বসে এই পরিকল্পনা করেন স্কালোনি।
এ বারই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন মেসি। দেশের হয়ে একমাত্র বিশ্বকাপ জেতা বাকি তাঁর। এই ধারণা দলের বাকিদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন স্কালোনি। দলের ফুটবলাররা যতটা না নিজেদের জন্য খেলছেন, তার থেকে বেশি খেলছেন মেসিকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য। তাই এখন আর মাঠে একা হয়ে পড়ছেন না মেসি। তার ফল পাচ্ছে আর্জেন্টিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy