সুস্থ হয়ে উঠলেও আরও কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হবে পেলেকে। ছবি: টুইটার।
অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন পেলে। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ আর নেই। যদিও এখনই তাঁকে বাড়ি পাঠাতে চান না চিকিৎসকরা। মলাশয়ের ক্যানসার এবং বয়সজনিত অন্যান্য সমস্যার জন্য আরও কিছু দিন পেলেকে পর্যবেক্ষণে রাখতে চান তাঁরা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
গত ২৯ নভেম্বর থেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি পেলে। মাস খানেক আগে কোভিড আক্রান্ত হন তিনি। বাড়িতেই কোভিড মুক্ত হলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘‘পেলেকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও দিন নির্দিষ্ট করা হয়নি। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির প্রতি দিন উন্নতি হচ্ছে। ফুসফুসের সংক্রমণও আর নেই। তাঁকে সাধারণ ঘরে রাখা হয়েছে। সমস্ত শারীরিক মাপকাঠি স্থিতিশীল রয়েছে।’’ বাবাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকা থেকে সাও পাওলোয় এসে পৌঁছেছেন পেলের বড় মেয়ে ফ্লাবিয়া নাসিমেন্টো। সুস্থ পেলের সঙ্গে একটি ছবি তিনি দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
এর আগে তিন বার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, পেলের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন পেলের দুই মেয়ে ফ্লাবিয়া এবং কেলি। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন তাঁরা। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিন পেলেও সমাজমাধ্যমে লেখেছিলেন, ‘‘আমার বন্ধুরা, সকলকে শান্ত এবং ইতিবাচক রাখতে চাই। আমি শক্তিশালী আছি।’’
হাসপাতালে থাকলেও নিয়মিত দেখছেন বিশ্বকাপের খেলা। ব্রাজিলের বিদায়ে হতাশ হলেও আগামী দিনের জন্য নেমারকে উৎসাহিত করে বার্তা দিয়েছেন। তাঁর নজির স্পর্শ করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন কিলিয়ন এমবাপেকেও। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy