Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
FIFA World Cup 2022

শেখের শখ! বিশ্বকাপে বিয়ারের খোঁজে হন্যে দুই সাহেব সিংহের মুখে, কী হল তার পর?

দোহার গরমে নাজেহাল ইউরোপের ফুটবলপ্রেমীরা। চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না বিয়ার। কাতারের রাজার ইচ্ছায় এ বারের বিশ্বকাপ ‘ড্রাই’। তবু বিয়ারের খোঁজ করতে গিয়ে সিংহের মুখে পড়তে হল দুই ইংরেজকে।

বিয়ারের খোঁজ করা দুই ইংরেজ ফুটবল সমর্থককে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান এক শেখের ছেলে। সেখানে ছিল তাঁদের পোষা সিংহ।

বিয়ারের খোঁজ করা দুই ইংরেজ ফুটবল সমর্থককে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান এক শেখের ছেলে। সেখানে ছিল তাঁদের পোষা সিংহ। ছবি: টুইটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৩:০২
Share: Save:

খোঁজ করলে কাতারে বাঘ, সিংহ পাওয়া কঠিন নয়। কিন্তু এক গ্লাস বিয়ার পাওয়া কঠিন। কতটা কঠিন, তা বুঝলেন ইংল্যান্ডের দুই ফুটবলপ্রেমী।

সোমবার ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনদের দ্রুত গতির ফুটবলের কোনও জবাব দিতে পারেননি ইরানের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপে প্রিয় দলের এমন ঝলমলে শুরুর পর কি বিয়ার ছাড়া চলে? জয়ের আনন্দে বিয়ারের খোঁজ শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটপ্রেমী। তাঁরা জানতেন কাতারে বিয়ার নিষিদ্ধ। রাজার ইচ্ছায় বিশ্বকাপও এ বার ‘ড্রাই’। তবু যদি কোথাও পাওয়া যায়, এই আশায় গোটা দোহা শহর চষে ফেলেন দুই ইংরেজ। বিয়ারের খোঁজে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পৌঁছন এক শেখের বাড়িতে।

শেখের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের প্রায় হাড়হিম করা পরিস্থিতি হয়। সেখানে তাঁরা দেখেন আর এক রাজার রাজত্ব। তিনি পশুরাজ সিংহ। প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে যান। পশুরাজ ছিলেন খোশ মেজাজে। চোখের সামনে সিংহ দেখে তখন বিয়ারের তৃষ্ণা এমনিই মিটে গিয়েছিল দুই ইংরেজ ফুটবলপ্রেমীর।

কী ভাবে পৌঁছলেন শেখের বাড়িতে? তাঁদের এক জন বলেছেন, ‘‘আমরা বিয়ারের খোঁজ করছিলাম। দোহায় আসার পর থেকেই গরমে কাহিল আমরা। সে জন্য স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইছিলাম বিয়ার কোথায় পাওয়া যায়। একটা গাড়ি থেকে এক জন আমাদের বললেন তাঁর কাছে বিয়ার আছে। শুনেই আমরা গাড়ির পিছনের আসনে উঠে বসি। গাড়িটা আমাদের একটা বড় প্রাসাদে নিয়ে যায়। সেখানে প্রচুর বাঁদর ছিল। ছিল নানা রকম দামি পাখিও। আর ছিল শেখের প্রিয় সিংহ।’’

সামনে সিংহ দেখে প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে যান তাঁরা। ভয় কাটে প্রাসাদের কর্মীদের আশ্বাসে। কারণ শেখের প্রিয় সিংহ খুবই বাধ্য। বেশ শান্ত। কামড়ায় না। আঁচড়ায় না। দুই বিদেশি তখন সিংহের সঙ্গে খেলেন। সিংহকে আদর করেন। তাঁদের সঙ্গে ভাব জমে যায় পশুরাজেরও। সিংহের সঙ্গে এমন সময় কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ডের দুই সমর্থক। শেখের প্রাসাদে বিয়ার পাওয়া না গেলেও খাতিরযত্নের কোনও ত্রুটি হয়নি বিদেশি অতিথিদের। যিনি তাঁদের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি ওই শেখের ছেলে।

সিংহের সঙ্গে ইংরেজ ফুটবলপ্রেমীদের খেলার ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ভিডিয়ো। যা দেখে উত্তেজিত কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ইংল্যান্ডের অন্য সমর্থকরা। কাতারে অবশ্য এ জিনিস বিরল নয়। বিত্তবানদের অনেকেই নিজেদের প্রাসাদে এমন ছোট চিড়িয়াখানা তৈরি করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE