ফিফপ্রোর দাবি, অসময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করায় খেলোয়াড়দের শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তির শিকার হতে হয়েছে। — ফাইল চিত্র
কাতারে তিন মাস আগে শেষ হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। অন্যান্য বারের প্রথা ভেঙে এ বারের ক্লাব মরসুমের মাঝপথে, শীতকালে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছে। খুব অঘটন না হলে সেই দৃশ্য আর হয়তো দেখা যাবে না। মরসুমের মাঝপথে বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা ফুটবলারদের শারীরিক ভাবে খুবই ক্ষতি করে, এই মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাপী ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো। সেখানে সূচি নিয়ে যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে তারা।
ফিফপ্রোর দাবি, অসময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করায় খেলোয়াড়দের শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তির শিকার হতে হয়েছে। বিশ্বকাপের পরেই এই দোহাই দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ফ্রান্সের রাফায়েল ভারান। তাঁর উদাহরণ দেখিয়ে আয়োজকদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। ফিফপ্রো বলেছে, “খেলোয়াড়রাই ফুটবলের প্রাণ। তাদের কথা সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে। খেলোয়াড়দের দেখিয়ে ব্যবসা করা যায়। তাদের দেখতেই সমর্থকরা আসে।”
ফিফপ্রোর সংযোজন, “যদি খেলোয়াড়দের জীবনই বিপন্ন হয়, তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য চাপের কারণে বিঘ্নিত হয়, তা হলে সেটা সতর্কবার্তাই।” ফিফপ্রো স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০২২-এর পুনরাবৃত্তি হলে সেটা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি একান্তই মরসুমের মাঝপথে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হয়, তা হলে ফুটবলারদের সেরে ওঠার জন্য সময় দিয়ে সে ভাবেই সূচি তৈরি করতে হবে।
অন্তত ৮৬ শতাংশ ফুটবলার ১৪ দিনের বিশ্রাম চান। ১৪ থেকে ২৮ দিনের বিশ্রাম চান ৬১ শতাংশ। ফলে ফুটবলারদের কাছে শারীরিক সুস্থতা কতটা প্রয়োজনীয়, সেটা এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy