—প্রতীকী চিত্র।
এই বছর মার্চ মাসে ভারতের ফুটবল দলের খেলা দেখতে মণিপুরের স্টেডিয়ামে ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শক ছিল। ভারতের সেই দলে মণিপুরের সাত জন ফুটবলার ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে মণিপুরের যা অবস্থা, তাতে সেখানকার ফুটবলারেরা আর সেই রাজ্যে থাকতে চাইছেন না। অন্য রাজ্যে গিয়ে খেলতে চাইছেন তাঁরা।
মণিপুরের অনেক ফুটবলার এবং কর্মকর্তা এখন হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিজেদের গ্রাম বাঁচানোর জন্যই তাঁদের অনেকের হাতে বন্দুক। মণিপুরের ঘরোয়া লিগে গত মরসুমেও খেলেছেন সেই সব ফুটবলারেরা। তেমনই এক ফুটবলার বলেন, “গ্রামের সীমানা পাহারা দিচ্ছিলাম। আমার কাছে বন্দুক আছে। লাইসেন্সও আছে সেটার। সেই বন্দুক নিয়েই রাতে গ্রাম পাহারা দিই। পালা করে গ্রাম পাহারা দেওয়া হয় এখন। দল তৈরি করা হয়েছে। একেকটা দল ২-৩ দিন করে পাহারা দেয়। তার পর অন্য দল গিয়ে তাদের জায়গা নেয়। ভারতীয় সেনা আমাদের সাহায্য করছে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমার অনেক বন্ধু বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছে। সেখানে ফুটবল খেলছে তারা।”
গত বছর মণিপুরের লিগে ১৯টি ক্লাব খেলেছিল। ৫৭০ জন ফুটবলার খেলেছিলেন। এক প্রাক্তন ফুটবলার বলেন, “অনেক ফুটবলারই মণিপুরের গণ্ডগোলের মধ্যে আটকে গিয়েছে। বেশির ভাগ ফুটবলার বাড়িতে বন্দি। যে সব জায়গায় গণ্ডগোল হচ্ছে, সেখানে হয়তো অনেক ফুটবলার বন্দুক তুলে নিয়েছে। গ্রাম পাহারা দিচ্ছে তারা।” মণিপুরের ফুটবলার সংস্থার এক কর্তা বলেন, “৭০-৮০ জন তরুণ ফুটবলার রাজ্য ছাড়ার অনুমতি চেয়ে মণিপুর ফুটবল সংস্থায় যোগাযোগ করেছে। অনেকেই বেঙ্গালুরু চলে যাচ্ছে। কিছু ফুটবলার যাচ্ছে ত্রিপুরা এবং ঝাড়খণ্ডে।”
আগামী দিনে মণিপুরের ফুটবল কতটা স্বাভাবিক ভাবে আয়োজন করা সম্ভব তা জানেন না কর্তারা। ওই কর্তা বলেন, “জানি না কবে লিগ শুরু হবে। গত বার অগস্টে লিগ শুরু হয়েছিল। গোয়াতে জাতীয় লিগ রয়েছে। সেটার জন্য দল বেছে নেওয়াই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy