চমক দিলেন সান্টি কাজ়োর্লা। ছোটবেলার ক্লাব রিয়াল ওভিয়েডোকে ২৪ বছর পর লা লিগার মূল পর্বে তুলেছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সি ফুটবলার ২০২৩ সালে ফিরেছিলেন নিজের পুরনো ক্লাবে। গত বার ফাইনালে হেরেছিলেন। এ বার ক্লাবকে লা লিগায় তুলেছেন তিনি।
সেগুন্ডা প্রোমোশন প্লে-অফের ফাইনালে মিরান্দেসকে দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ওভিয়েডো। গোল করেছেন ৪০ বছরের কাজ়োর্লা। স্পেনের প্রাক্তন ফুটবলার এর আগে সেমিফাইনালে আলমেইরার বিরুদ্ধে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন। সেই গোলে জিতে প্লে-অফ খেলার সুযোগ পায় ওভিয়েডো। প্রথম পর্বে ০-১ গোলে হারে তারা। দ্বিতীয় পর্বে ৩-১ গোলে (দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২) জেতে ওভিয়েডো। এই জয়ের ফলে ২৪ বছর পর আবার লা লিগায় দেখা যাবে তাদের।
ওভিয়োডের যুব দল থেকে উত্থান কাজ়োর্লার। ২০০৩ সালে এই ক্লাব ছাড়েন তিনি। তার পরে ভিয়ারিয়াল, মালাগা, আর্সেনাল, আল সাদের মতো দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে ৮১টা ম্যাচ খেলেছেন কাজ়োর্লা। ২০০৮ ও ২০১২ সালে তাদের ইউরোজয়ী দলে ছিলেন তিনি। তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে সুযোগ পাননি তিনি।
অবসর ঘোষণা করে ফেলেছিলেন কাজ়োর্লা। তা ভেঙে ২০২৩ সালে ওভিয়েডোতে ফেরেন তিনি। ২০২৪ সালে দলকে প্লে-অফের ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। সে বার হেরে যান। কিন্তু এ বার হারেননি কাজ়োর্লা। এর আগেও ক্লাবের জন্য এগিয়ে এসেছেন তিনি। ২০১২ সালে ওভিয়েডো আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় ক্লাবের আংশিক মালিকানা কিনেছিলেন তিনি। আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। তিনি পাশে পেয়েছিলেন স্পেনের আরও দুই ফুটবলার জুয়ান মাতা ও মিচুকে। তাঁরাও এই ক্লাবেই ছোট থেকে খেলেছেন।
আরও পড়ুন:
ওভিয়েডোতে ফেরার পর পারিশ্রমিক নিতে চাননি কাজ়োর্লা। কিন্তু লা লিগার নিয়ম, বিনা পারিশ্রমিকে কেউ খেলতে পারবেন না। তাই লিগের নিয়মে ন্যূনতম পারিশ্রমিকে (ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ৯০ লক্ষ টাকা) খেলেছেন তিনি। সেই টাকাও তিনি দিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে। অর্থাৎ, বলা যেতে পারে বিনা পারিশ্রমিকেই খেলেছেন তিনি।
ছোটবেলার ক্লাবকে লা লিগায় তুলে কাজ়োর্লা বলেন, “আমার কেরিয়ার যথেষ্ট সফল। শেষ কাজটাও এ বার করলাম। যে ক্লাব আমাকে তৈরি করেছে তার জন্য এটা করা আমার কর্তব্য ছিল। আমি বিনা পারিশ্রমিকেই খেলতাম। কিন্তু নিয়মও মানতে হবে। এই ক্লাবে খেলার সময় ছোটবেলায় অনেক স্বপ্ন দেখেছি। তার বেশির ভাগই পূর্ণ হয়েছে। তাই সেই ক্লাবকে যতটা পেরেছি সাহায্য করেছি।”