ফাইনাল জিতেও এ ভাবেই উচ্ছ্বাস করতে চায় এটিকে মোহনবাগান। ছবি: টুইটার
আইএসএলের ফাইনালে উঠে চনমনে এটিকে মোহনবাগান। গোটা দলের শরীরী ভাষাতেই মনে হচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরেই গোয়া পৌঁছে গিয়েছে দল। শুক্রবার অনুশীলন হবে। শনিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ফাইনাল।
এর আগে এটিকে তিনটি আইএসএল জিতেছে। কিন্তু মোহনবাগানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পর তারা এক বার ফাইনালে উঠেছে, ট্রফি জিততে পারেনি। এ বার অধরা স্বপ্ন পূরণ করার তাগিদ রয়েছে তাদের। মোহনবাগানের পক্ষে আশার খবর, আশিক কুরুনিয়নের অনুশীলনে ফেরা। বৃহস্পতিবার সকালে দলের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করেছেন তিনি। পরে বলেছেন, “দুটো সেমিফাইনালে চোটের জন্য খেলতে পারিনি। ফাইনালে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাব।”
সবুজ-মেরুনের ডিফেন্ডার স্লাভকো দামিয়ানোভিচ বলেছেন, “এর আগে সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, দক্ষিণ আফ্রিকা বা হাঙ্গেরিতে বেশ কয়েক বার লিগ বা কাপ জিতেছি। ভারতে এই প্রথম কোনও ট্রফি জয়ের সামনে আমরা। কোনও মতেই হাতছাড়া করতে চাই না। দুই মেয়ে এবং ছেলে আবদার করেছে ট্রফির। আমি সেটা ওদের উপহার দিতে চাই।” তিনি আরও বলেছেন, “বেঙ্গালুরু ভাল দল। আক্রমণভাগ শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণকে চিনি। আগে ওর বিরুদ্ধে খেলেছি। বেশ ভাল ফুটবলার। নিজেদের খেলা খেলতে পারলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।”
গোয়া থেকে এসে সবুজ-মেরুন জার্সিতে সাড়া জাগিয়েছেন গ্লেন মার্টিন্স। তাঁর কথায়, “আমি গোয়ার ছেলে, সেখানেই ফাইনাল। স্থানীয় অনেক বন্ধু মেসেজ করছে। সবাই খেলা দেখতে আসবে এবং আমাকে সমর্থন করবে। ফতোরদা স্টেডিয়ামও আমার চেনা। এখনও আইএসএল জিততে পারিনি। বেঙ্গালুরু শক্তিশালী দল। ওদের সোনালি সময় চলছে। ভারসাম্য রয়েছে দলে। তবে আমরাও দলগত শক্তি দিয়েই জিততে চাই।”
বঙ্গসন্তান শুভাশিস বসু বলেছেন, “ডার্বির পর থেকে প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল মনে করে খেলেছি। মরণ-বাঁচন ম্যাচ মনে করে নেমেছি। শেষ লড়াইয়েও আমাদের পাশ করতে হবে। বেঙ্গালুরুর জাভি আমার মতে সবচেয়ে বিপজ্জনক। ওকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy