যুবভারতীতে ডার্বি জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। ছবি: টুইটার
ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান! এমনটাই মনে করছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। ডার্বি জয়ের আনন্দ মনে রাখেনি সবুজ-মেরুন। মোহনবাগানের পাখির চোখ এখন ফাইনাল খেলা। সেই কারণে শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে প্লে অফের ম্যাচকে ফাইনাল হিসাবেই দেখছে তারা।
যুবভারতীতে ডার্বি জিতেছে মোহনবাগান। টানা আটটি ডার্বিতে জয়ের পরেও উচ্ছ্বাসে মাততে নারাজ সবুজ-মেরুন। দলের ডিফেন্ডার স্লাভকো ডোমানভিচ বলেন, “ওড়িশা শক্তিশালী দল। আমাদের কাছে ডার্বির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। ওড়িশা পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমরা। মাঠে আমাদের সমর্থকরা থাকবেন। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে, না হলে আনন্দটাই ফিকে হয়ে যাবে।”
মোহনবাগানের মাঝমাঠের শক্তি হুগো বুমোস। তিনি বলেন, “ডার্বিতে আমরা মরিয়া মনোভাব নিয়ে খেলেছিলাম। শনিবার আরও বেশি একাগ্রতা নিয়ে খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ওড়িশা বেশি শক্তিশালী। ওরাও ফাইনালে ওঠার চেষ্টা করবে। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে। আমরা চাই ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে। অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে যেতে চাই না।”
বাঙালির কাছে ডার্বির আবেগ কেমন তা বোঝেন প্রীতম কোটাল। মোহনবাগান অধিনায়ক তা-ও ডার্বির থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ওড়িশা ম্যাচকে। প্রীতম বলেন, “এই ম্যাচটা হারলে সব শেষ। তাও ডার্বির থেকেও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে আমাদের। ডার্বি এখন অতীত। আমরা লিগ জিততে পারিনি। কিন্তু শিল্ড জেতার সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ডার্বি খেলতে নেমেছিলাম জেতার মানসিকতা নিয়ে। ওড়িশা ম্যাচেও সেটা প্রয়োজন। নক আউটে সামান্য ভুলেই অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকব। আমাদের এখন শুধুই চিন্তা ওড়িশাকে নিয়ে। আর কোনও কিছু নিয়েই ভাবছি না আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy