গোলের পর জেসন কামিংস। ছবি: এক্স।
মোহনবাগান ৪ (লিস্টন, কামিংস,
পেত্রাতোস, সাহাল)
নর্থইস্ট ২ (জুরিচ-২)
আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের। শনিবার ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিল তারা। শীর্ষস্থানে থাকার লড়াইয়ে এ বার ওড়িশা এফসি-র ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল তারা। শনিবার গোলে ফিরলেন লিস্টন কোলাসো। পাশাপাশি জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস, সাহাল সামাদ গোল করলেন।
বড় ব্যবধানে জয় পেলেও প্রথমার্ধের অনেকটা সময় জুড়ে নিষ্প্রভ ছিল মোহনবাগান। সংযুক্তি সময়ে গিয়ে তাদের আসল ফুটবল খুঁজে পাওয়া যায়। তার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেলেছে তারা। নর্থইস্টকে জায়গাই দেয়নি। গোল না করলেও মোহনবাগানের নেপথ্যনায়ক জনি কাউকো। চারটি গোলের মধ্যে তিনটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে তাঁর। মাঝমাঠে হুগো বুমোসের বদলে তাঁকে নিয়ে আসা কতটা কার্যকরী তা এই ম্যাচে টের পাওয়া গেল। এই ম্যাচে প্রথম বার কাউকোকে শুরু থেকে খেলান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। তাঁর সুফল পাওয়া গেল।
তবে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। ৬ মিনিটেই গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে উঠেছিলেন জিতিন। তিনি বক্সে ক্রস ভাসাতে গিয়েছিলেন। আটকাতে গিয়ে দীপেন্দু বিশ্বাসের হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টি দেন। সেখান থেকে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন টমি জুরিচ। এর পর প্রথমার্ধের মোহনবাগানের খেলায় ঝাঁজ দেখা যায়নি। মাঠ জুড়ে দাপাচ্ছিল নর্থইস্ট। আরও কয়েক বার গোলের কাছাকাছি চলে যায় তারা। বাঁ দিকে জিতিন বার বার সমস্যায় ফেলছিলেন। জুরিচও খারাপ খেলছিলেন না। ২৮ মিনিটে বেমামারের হেড পোস্টে লাগে। বার বার বল হারাচ্ছিলেন মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না লিস্টন কোলাসোর সেই খেলা।
তবে গোয়ার এই ফুটবলারই মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরান। সংযুক্তি সময়ের প্রথম মিনিটের খেলা চলছিল তখন। ডান দিক থেকে পাস বাড়িয়েছিলেন কাউকো। বল রিসিভ করেই বক্সের বাইরে থেকে নীচু শটে গোল করেন লিস্টন। চার মিনিট পরে আবার গোল। দিমিত্রি পেত্রাতোসের ফ্রিকিক বক্সের আগে হেডে ভাসিয়েছিলেন হেক্টর ইয়ুস্তে। সেটি গিয়েছিল বাঁ দিকে দাঁড়ানো কাউকোর কাছে। কাউকো হেড করে বল সাজিয়ে দেন কামিংসকে। অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার ফাঁকা গোলে বল ঠেলেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। জুরিচ দ্বিতীয় গোল করেন। বক্সের মধ্যে জুরিচকে পাস দিয়েছিলেন নেস্তর আলবিয়াখ। জুরিচ বল নিজের পায়ে রাখেন। সময় নিয়ে জোরালো শটে গোল করেন। এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি মোহনবাগান। কামিংস পাস দেন পেত্রাতোসকে। তাঁর সামনে ছিলেন শুধু বিপক্ষের গোলকিপার মিরশাদ মিচু। ঠান্ডা মাথায় মিরশাদকে পরাস্ত করে গোল করেন পেত্রাতোস। চার মিনিট পরে মোহনবাগানের চতুর্থ গোল সাহাল সামাদের। এ বারও নেপথ্যে সেই কাউকে। বাঁ দিকে ভাল একটি বল বাড়িয়েছিলেন সাহালের উদ্দেশে। বল রিসিভ করে জায়গা তৈরি করে নিয়ে গোল করেন কেরলের ফুটবলার।
ম্যাচের পরের দিকে একাধিক গোলের সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy