কঠোর শাস্তি হতে পারে মেন্ডির। ছবি: টুইটার।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার ছিল শুনানির দ্বিতীয় দিন। অপরাধ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তি হতে পারে তাঁর। ইংল্যান্ডের চেস্টার ক্রাউন আদালতে মেন্ডি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মোট ১৩ জন মহিলা সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, সকলেই মেন্ডির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কয়েক জন আদালতে অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণও দাখিল করেছেন। সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেছেন, ‘‘মেন্ডি ফুটবল খেলেন। তার থেকেও বেশি মহিলাদের সঙ্গে অভব্যতা করেন। উনি নিজেকে প্রচুর ক্ষমতাশালী মনে করেন। মহিলাদের উপর বলপ্রয়োগ করেন। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। মনে করেন ক্ষমতা ব্যবহার করে শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন।’’
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, লুই সাহা মাতুরি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ফাঁদে ফেলতেন মেন্ডি। মহিলাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অভব্যতা করতেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মাতুরিকে এ জন্য মোটা টাকাও দিয়েছেন মেন্ডি। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলারের বাড়ির দরজার সিসিটিভি-র ভিডিয়োও আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সাক্ষীদের মধ্যে সাত জন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মেন্ডিকে। আট জন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মাতুরিকে। আট বার ধর্ষণ, এক বার যৌন হেনস্থা এবং এক বার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ২৮ বছরের ফরাসি ফুটবলারের বিরুদ্ধে। প্রথম ন’টি অভিযোগের শুনানি আগেই শেষ হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই মেন্ডি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এখনও কোনও রায় দেয়নি আদালত।
আশা করা হচ্ছে, দশম অভিযোগের শুনানি প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। অপরাধ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তি হতে পারে মেন্ডির। শেষ হয়ে যেতে পারে তাঁর ফুটবলজীবন।
গত বছর অগস্টে গ্রেফতার হন তিনি। প্রথমে তাঁকে রাখা হয় লিভারপুলের একটি জেলে। পরে ম্যাঞ্চেস্টারের জেলে নিয়ে আসা হয়। গত জানুয়ারি মাসে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই ফুটবলার শর্তসাপেক্ষে জামিন পান। তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হয়েছে আদালতে। ফ্রান্সের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy