কলকাতা লিগে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন মহমেডানকে এ বার খেলতে হবে ‘রেলিগেশন রাউন্ড’। শুক্রবার ব্যারাকপুরে লিগের শেষ ম্যাচে মহমেডান ১-১ ড্র করে ইউনাইটেড কলকাতার সঙ্গে। অন্য ম্যাচে কল্যাণীতে কলকাতা পুলিশকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘রেলিগেশন রাউন্ডে’ খেলার হাত থেকে বাঁচল এরিয়ান।
‘রেলিগেশন রাউন্ড’-এ খেলা থেকে বাঁচার লড়াইয়ে মহমেডান এবং এরিয়ান ছিল। ১২ ম্যাচে মহমেডানের পয়েন্ট হল ১১। পয়েন্ট তালিকায় তারা একাদশ স্থানে নেমে গেল। এরিয়ান ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চলে এল দশম স্থানে। তাদের আর ‘রেলিগেশন রাউন্ড’ খেলতে হবে না। এই গ্রুপে কলকাতা পুলিশ এবং সাদার্ন সমিতি আগেই ‘রেলিগেশন রাউন্ড’-এ চলে গিয়েছে। সুপার সিক্সে উঠেছে ইউনাইটেড এসসি, ইউনাইটেড কলকাতা এবং ভবানীপুর।
শুক্রবার মরণ-বাঁচন ম্যাচে একেবারেই ভাল খেলতে পারেনি মহমেডান। প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে যায় তারা। ম্যাচের একেবারে শুরুতে ৬ মিনিটের মাথায় বাবাই পৈলান ইউনাইটেড কলকাতাকে এগিয়ে দেন। পিছিয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার প্রবল চেষ্টা করেন মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর দল। ৫৫ মিনিটে লালঙ্গাইলসাকার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর বেশ কিছু সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন মহামেডান।
আরও পড়ুন:
কল্যাণীতে রাজু ওরাওঁয়ের গোলে এরিয়ান হারায় কলকাতা পুলিশকে। ৫৮ মিনিটে গোল করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুই গ্রুপের প্রথম তিনটি দলকে নিয়ে যেমন ‘চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড’ হয়, তেমনই শেষ তিনটি দলকে নিয়ে হয় ‘রেলিগেশন রাউন্ড’। এই রাউন্ডে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে এক বার করে খেলবে। পয়েন্টের বিচারে যে দু’টি দল সকলের নীচে শেষ করবে, তারা নেমে যাবে প্রথম ডিভিশনে। ‘রেলিগেশন রাউন্ড’-এ গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট যোগ করা হবে। মহমেডানের পয়েন্ট ১১। ফলে এ ক্ষেত্রে তারা কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে।
(ভ্রম সংশোধন: এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, কলকাতা লিগে মহমেডান অবনমনে চলে গিয়েছে। সেই তথ্যটি ভুল। মহমেডান অবনমনে যায়নি। অবনমনের আওতায় চলে গিয়েছে। এরপর অবনমন রাউন্ড হবে। সেখানে খেলবে মহমেডান। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা মহমেডান ক্লাবের সকল সমর্থক, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তার কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।)