গত দুই মরসুম ধরে মোহনবাগানের মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন তিনি। কোনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে মোহনবাগান খেলতে নামলেই তাঁর পা থেকে গোল পাওয়া যাবে। আইএসএলের ফাইনালে জোড়া গোল করেছিলেন। ডুরান্ডের ফাইনালেও জয়সূচক গোল এসেছে তাঁর পা থেকে। সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, আইএসএলে তাঁর আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যাবে।
ডুরান্ডের ফাইনালে গোল করলেও গোটা প্রতিযোগিতায় খুব একটা ভাল ফর্মে দেখা যায়নি পেত্রাতোসকে। প্রথম ডার্বিতে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় ডার্বির আগে প্রতিশোধের কথা বলেছিলেন তিনি। সেই কথাও রেখেছিলেন। আইএসএল শুরুর আগে কলকাতায় মিডিয়া ডে-তে অসি স্ট্রাইকার বললেন, “ডুরান্ডে নিজের সেরা ছন্দে ছিলাম না। আইএসএল আসুক। দেখিয়ে দেব আমি কে!”
গত বার মোহনবাগানের আক্রমণ একার হাতে সামলাতে হত তাঁকে। এ বার পেত্রাতোস পাশে পাবেন বিশ্বকাপার জেসন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকুকে। তাই আরও বেশি গোল করবেন বলে আশা প্রকাশ করলেন তিনি। বলেছেন, “গত বছর আমাকে একাই সব করতে হয়েছে। এ বার আমার পাশে দু’জন যোগ্য ফুটবলার রয়েছে। তাই চাপ আগের থেকে কম। এ বার অনেক খোলা মনে খেলতে পারব। তার প্রভাব পারফরম্যান্সে নিশ্চয়ই পড়বে।”
আরও পড়ুন:
বাংলার ফুটবলার তথা মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু চাইছেন প্রথম দল হিসাবে আইএসএল ট্রফি ধরে রাখতে। তিনি বলেছেন, “অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই ডুরান্ড কাপ জিতেছি। এ বার আমরা আইএসএলটা ধরে রাখতে চাই। ডুরান্ড জেতায় গোটা দলের মধ্যেই একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। সেটা আইএসএলেও দেখা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ক্লাব বনাম দেশ বিতর্কে ঢুকতে চাইলেন না শুভাশিস। ক্লাবের পাশাপাশি দেশের হয়েও নিয়মিত তিনি। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “এ বার আইএসএল, এএফসি কাপ-সহ অনেক ম্যাচ রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া দেশের হয়ে এশিয়ান কাপ এবং বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচ রয়েছে। আমি চাই ক্লাব এবং দেশের হয়ে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে।”