এক সময় এই দলে খেলে গিয়েছেন জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ, রোনাল্ডিনহো, ডেভিড বেকহ্যামেরা। একসঙ্গে খেলে গিয়েছেন লিয়োনেল মেসি, নেমার, কিলিয়ান এমবাপেরা। কেউই একটি ট্রফি দিতে পারেননি। সেটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এ বার প্যারিস সঁ জরমঁ দল পুরোপুরি তারকাহীন। নামকরা ফুটবলার নেই। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল তারা। বুধবার রাতে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল আর্সেনালকে।
প্রথম পর্বে লন্ডনে গিয়ে ১-০ জিতে এসেছিল প্যারিস। ঘরের মাঠে দলকে জেতাল ফ্যাবিয়ান রুইজ় এবং আচরফ হাকিমির গোল। আর্সেনালের বুকায়ো সাকা একটি গোল করলেও লাভ হয়নি।
প্যারিসে নামকরা ফুটবলার না-ই থাকতে পারে। তবে কোচ হিসাবে যিনি রয়েছেন তিনি কোনও অংশে কম নন। প্যারিসের এই প্রত্যাবর্তনের পিছনে অনেকাংশেই রয়েছে লুই এনরিকের মস্তিষ্ক। বার্সেলোনায় নামকরা ফুটবলারদের সামলেছেন। দায়িত্বে ছিলেন স্পেন দলেরও। এ বার তিনিই প্যারিসের ভোল বদলে দিয়েছেন।
গত বছর এমবাপে প্যারিস ছাড়ার পরে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তা বুঝতেই দেননি এনরিকে। হাতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নিয়েই দল গড়েছেন। তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে। ২০২০ সালের পর আবার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। আগের বার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারলেও এ বার ট্রফি জিততে মরিয়া তারা।
আরও পড়ুন:
যদিও কৃতিত্ব নিজে নিতে রাজি নন এনরিকে। তিনি বলেছেন, “প্রথম দিন থেকেই বলেছিলাম, কঠোর পরিশ্রম করে ক্লাবের হয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে হবে। সেই লক্ষ্য এখনও একই রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে যে ট্রফির আশায় আমরা বসে আছি সেটা এ বার চাই। কোচ হিসাবে এখানে খুব ভাল ভাবে কাজ করছি। আমার সব রকম স্বাধীনতা রয়েছে।”
আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতার মতে, দুই পর্ব মিলিয়ে তাঁরাই সবচেয়ে ভাল খেলেছেন। স্রেফ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বলে জিততে পারেননি।