কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
আইএসএলে পর পর তিন ম্যাচে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। শুক্রবার যুবভারতীতে এফসি গোয়ার কাছে হারের পরে মাঠেই শোনা গিয়েছে ‘কার্লেস কুয়াদ্রাত গো ব্যাক’ স্লোগান। যদিও সে দিন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জানাননি লাল-হলুদ কোচ। সোমবার তিনি পদত্যাগ করেছেন। ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার কুয়াদ্রাতের দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, “ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ ছেড়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। অন্তর্বর্তী কোচের দায়িত্ব নেবেন বিনো জর্জ। নতুন কোচ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনিই কোচ থাকবেন।”
ইস্টবেঙ্গলের যে দল কলকাতা লিগে খেলে সেই দলের কোচ বিনো। তাঁর কোচিংয়ে কলকাতা লিগে অপ্রতিরোধ্য ইস্টবেঙ্গল। একটিও ম্যাচ না হেরে লিগ জেতার পথে এগোচ্ছে তারা। সেই কারণে আপাতত বিনোর উপরেই ভরসা রেখেছে ক্লাব। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, অন্তর্বর্তী কোচ বিনোকে সমর্থন করুন।”
গত বছর কুয়াদ্রাতের কোচিংয়েই সুপার কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গত বার ডুরান্ড কাপে রানার্স হয় তারা। কুয়াদ্রাতের অধীনে ক্লাবের এই দুই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্লাব।
ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত মরসুমে সুপার কাপ ও ডুরান্ডে ভাল ফল করলেও আইএসএলের প্লে-অফে দলকে তুলতে পারেননি কুয়াদ্রাত। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, দলে আরও কিছু ভাল ফুটবলার চান। তাঁর দাবি মেনে এই মরসুমের আগে দল গুছিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গত বারের আইএসেলের সোনার বুটজয়ী দিমিত্রি দিয়ামানতাকোসকে এনেছে তারা। সই করানো হয়েছে মাদি তালালের মতো বিদেশিকে। মোহনবাগান থেকে হেক্টর ইয়ুস্তে ও আনোয়ার আলির মতো ডিফেন্ডারকে সই করিয়েছে তারা। তার পরেও এ বার খারাপ খেলছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ডে ব্যর্থ হয়েছে। আইএসএলে পর পর তিন ম্যাচে হারতে হয়েছে। তার পরেই চাকরি গেল কোচের। এখন দেখার , বিনোর অধীনে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদলায় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy