রেফারির সঙ্গে তর্ক নেদারল্যান্ডসের ডামফ্রাইসের। ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচে ৭০ মিনিটে একটি গোল করেছিল নেদারল্যান্ডস। জ়াভি সিমন্সের সেই গোল অবশ্য অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। সেই অফসাইডের সিদ্ধান্ত নিতে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিদের (ভার) লেগেছিল তিন মিনিটের কাছাকাছি সময়। কেন এই সময় লেগেছিল? অফসাইডের নিয়মই বা কী বলছে?
ম্যাচের পর জানা গিয়েছে, ভার-এর সিদ্ধান্ত নিতে লেগেছে ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময়। মাঝের এই সময়ে ম্যাচের গোল এবং অফসাইডের বিশ্লেষণ চলেছে।
নির্বিষ ম্যাচে ৬৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন সিমন্স। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল নেদারল্যান্ডস। তখনই লাইন্সম্যান পতাকা তুলে জানিয়ে দেন, অফসাইড হয়েছে। কিন্তু অফসাইড লাইনে থাকা ডেঞ্জিল ডামফ্রাইসের সঙ্গে বলের কোনও স্পর্শ হয়নি। তা হলে কী ভাবে তিনি অফসাইড হলেন? এই প্রশ্নে উত্তাল হয়ে ওঠে ফুটবলবিশ্ব। শেষ মেশ রেফারিরা জানান, ডামফ্রাইস শুধুমাত্র অফসাইডে দাঁড়িয়েছিলেন তাই নয়, বিপক্ষের গোলকিপারের দৃষ্টিও আটকে দিয়েছিলেন। ফলে ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান ঝাঁপাতে পারেননি।
ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা জানাচ্ছে, কোনও খেলোয়াড় যদি সতীর্থের সঙ্গে বলের স্পর্শ ঘটার সময় অফসাইডে থাকেন এবং বিপক্ষের কোনও খেলোয়াড়কে বাধা দেন বা তাঁকে বল দেখতে বাধা দেন, তা হলে ওই ফুটবলারকে অফসাইড দেওয়া হবে।
শুক্রবারের ম্যাচে ফরাসি গোলকিপার সিমন্সের শট করতে পারতেন কি পারতেন না, তা তর্কসাপেক্ষ। এ ক্ষেত্রে মাঠের রেফারি যেটা মনে করবেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সে কারণেই ইংরেজ রেফারি অ্যান্টনি টেলর অফসাইড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy