অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট জোগাড় করতে গিয়ে কী ভাবে অপদস্থ হয়েছেন, নিজের ওয়ালে সেটাও উল্লেখ করছেন প্রাক্তন তারকা। তরুণ বললেন, ‘‘ফাইনালের দু’টো টিকিট দেওয়ার জন্য আমি অনেককেই অনুরোধ করছিলাম। এক জন আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন টিকিট দেওয়ার। সেমিফাইনালের পরের দিন তাঁর দফতরে গিয়েছিলাম। স্লিপ দিয়েও দেখা হয়নি। আধঘণ্টা অপেক্ষা করে খালি হাতে ফিরে এসেছিলাম।’’ হতাশ তরুণ ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রাক্তন ফুটবলার হয়ে টিকিটের জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছিল।’
ক্ষোভ: তরুণ দে-র ফেসবুক পোস্ট। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ক্রীড়ামহলে।
যুবভারতীতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট পাননি জাতীয় দলের আর এক প্রাক্তন ফুটবলার কুমারেশ ভাওয়ালও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিশ্বকাপের আগে শুনেছিলাম, জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলাররা টিকিট পাবে। কলকাতায় এতগুলো ম্যাচ হওয়া সত্ত্বেও কোনও টিকিট পাইনি। শুনলাম, টিকিট নাকি লটারির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সেই তালিকায় আমার নাকি নাম ছিল না!’’ কুমারেশ শেষ পর্যন্ত এক বন্ধুর কাছে টিকিট পেয়ে ফাইনাল দেখতে গিয়েছিলেন।’’
অনূর্ধ্ব-১৭ শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই টিকিটের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে আইএফএ-র তরফে লটারির মাধ্যমে প্রাক্তন ফুটবলারদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট দেওয়া হয়। তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি ফিফা-র কাছে ম্যাচ পিছু ২২০টি টিকিট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিফা মাত্র ৮৫টি টিকিট দেয়। এই কারণেই লটারির মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন ফুটবলারদের।