কাকার হাত ধরেই টেনিসে আসা তাঁর। কাকার থেকেই টেনিসের অ-আ-ক-খ শিখেছেন তিনি। দীর্ঘ টেনিসজীবনের লম্বা সময় ধরে তাঁর কোচ ছিলেন কাকাই। সেই টোনি নাদালের সঙ্গে রাফায়েল নাদালের বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১৭ সালে। তার পর প্রথম বার পেশাদার টেনিসজীবনে কাকার মুখোমুখি হতে চলেছেন নাদাল। সরাসরি কাকার বিরুদ্ধে নয়, তাঁর ছাত্র ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমেই এ বারের ফরাসি ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে নাদালের প্রতিপক্ষ। কিন্তু প্রথম বার কাকার মুখোমুখি হলেও পাত্তা দিচ্ছেন না ১৩ বার ফরাসি ওপেন জয়ী স্প্যানিশ খেলোয়াড়।
কোচ হিসেবে টোনি অত্যন্ত কঠোর। মাঝে মাঝে নাদালের উপরে অতিরিক্ত চাপ দিতেন। কিন্তু টোনির মতে, নাদাল যাতে সফল হন, তাই জন্যেই এ কাজ করতেন তিনি। এমনও হয়েছে, অনুশীলন সেরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন ছোট নাদাল। টোনি বিশ্বাস করেন, কোচ হিসেবে কঠোর হলে ছাত্রের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সেটা যে ভুল নয়, নাদালের সাফল্যেই স্পষ্ট। ১৩ বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন তিনি। তার মধ্যে কাকার কোচিংয়ে থাকাকালীন ১০ বার। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, অলিম্পিক্সে সোনা, সবই জিতেছেন টোনির প্রশিক্ষণে। টোনি বিশ্বাস করেন, টেনিস খেলার সরঞ্জামের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। তাই রাগ করে র্যাকেট আছড়ে ফেলা বা বল উড়িয়ে দেওয়ার তীব্র বিরোধী ছিলেন তিনি। নাদাল জীবনে কখনও সে কাজ করেননি। বাকিদেরও সেটাই শেখান। নাদালকে খারাপ কোর্টে পুরনো বলে কোচিং করিয়েছেন টোনি, যাতে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতে তাঁর ভাইপো ম্যাচ জিততে পারেন।