Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাঠের বাইরে থেকে টিমকে জেতানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব

জয়ের অভ্যেস যে একটা টুর্নামেন্ট থেকে আর একটা টুর্নামেন্টেও নিয়ে যাওয়া যায়, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সেটা প্রমাণ করে দিল নাইটরা। আইপিএল সেভেন যে ভাবে শেষ করেছিলাম, সে রকম নৃশংস ভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হল। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টিম হিসেবে কেকেআরের জয়ের দৌড়টা বাকি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা আমাদের সবার কাছেই গর্বের।

নিজামের শহরে নাইটরা। গোলকোণ্ডা ফোর্টে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে রায়ান টেন দুশখাতে। ছবি: টুইটার

নিজামের শহরে নাইটরা। গোলকোণ্ডা ফোর্টে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে রায়ান টেন দুশখাতে। ছবি: টুইটার

জাক কালিস
শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৪
Share: Save:

জয়ের অভ্যেস যে একটা টুর্নামেন্ট থেকে আর একটা টুর্নামেন্টেও নিয়ে যাওয়া যায়, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সেটা প্রমাণ করে দিল নাইটরা। আইপিএল সেভেন যে ভাবে শেষ করেছিলাম, সে রকম নৃশংস ভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হল। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টিম হিসেবে কেকেআরের জয়ের দৌড়টা বাকি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা আমাদের সবার কাছেই গর্বের।

স্বাভাবিক ভাবেই আমি খেলতে চাই। স্কোয়াডের সবাই-ই চায়। কিন্তু একটা ম্যাচে তো এগারো জনেরই শুধু খেলার জায়গা আছে। কেরিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই আমি দলের প্রথম এগারোয় থেকেছি। কিন্তু আমি সব সময়ই বলে এসেছি, কোনও প্লেয়ার কোনও টিমেই যেন তার জায়গা নিয়ে বেশি আত্মতুষ্ট না হয়ে পড়ে। অনেক আগেই আমি এই শিক্ষাটা পেয়েছি যে একটা টিম কোনও ব্যক্তির আগে।

তবে শারীরিক আর টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়ে আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যখন সুযোগ আসবে, তখন আমি একদম তৈরি থাকব। সেটা যত দিন না হয়, তত দিন আমি মাঠের বাইরে আর ট্রেনিংয়ে যতটা অবদান রাখা যায়, রাখব। খেয়াল রাখব যাতে আমাদের জয়ের দৌড় আরও এগোতে পারে। টানা জিততে থাকা একটা টিমের সদস্য হওয়ার চেয়ে ভাল অনুভূতি আর কী হতে পারে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যে লোকের কাছে অতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না, সেটা নিয়ে পড়েছি। কিছু কিছু কথা কানেও এসেছে। ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যের, কারণ প্লেয়াররা কিন্তু এই টুর্নামেন্টটা দারুণ উপভোগ করছে। বুঝতে পারছি কোনও কোনও মাঠে সে ভাবে লোক আসেনি। কিন্তু একমাত্র সেটা দিয়ে টুর্নামেন্টের ক্ষমতা বা সাফল্য বিচার করা ঠিক হবে না।

সিনিয়র প্লেয়ার বা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল ক্রিকেটারদের কাছে এটা একটা দারুণ মঞ্চ নিজেদের রাজ্য বা অঞ্চলের টিমের জন্য ভাল কিছু করার। তরুণদের কাছে আবার সুযোগ থাকে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা পরিবেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। আর টুর্নামেন্টের পুরস্কার মূল্য এতটাই বড় যে, সেটা আক্ষরিক অর্থেই জীবন পাল্টে দিতে পারে।

আইপিএলের টিমগুলো অবশ্য প্লেয়ার বাছাইয়ের সেরা সুযোগ পায়। যে প্লেয়াররা দুটো বা তিনটে টিমের হয়েও খেলে দিতে পারে। কিন্তু তাতে তো কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। জর্জ বেইলির কথা ভেবে অবশ্য একটু অদ্ভুত লাগছে। নিজের রাজ্য তাসমানিয়ার টিমের বিরুদ্ধে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিতে ওর-ও নিশ্চয়ই বেশ অদ্ভুতই লেগেছে।

দিনের শেষে অবশ্য ব্যাপারটা নির্ভর করে অর্থনীতির উপর। বিশ্বের যে কোনও বড় খেলাতেই যা হয়। কোনও কোনও টিম বাকিদের চেয়ে বেশি বড়, তাদের বাজেটও বেশি। আইপিএলের মধ্যেও তো এ রকম উদাহরণ আছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, জর্জের জায়গায় তাসমানিয়ার টিমে যে খেলল, সে নিজেকে প্রমাণ করার এ রকম একটা মঞ্চ পাওয়ায় কৃতজ্ঞ।

গত সপ্তাহে বলেছিলাম, এ রকম টুর্নামেন্টে ভাল শুরু কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কিন্তু ঠিক সেটাই করেছি। শেষ চারের কয়েকটা টিম যে রান রেট ঠিক করে দেবে, তার ভাল সুযোগ আছে। তাই দু’একটা ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতে রাখতে পারলে বাড়তি সুবিধে পাওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE